মো: মাহবুবুর রহমান খানঃ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০২৬ কে ঘিরে সারা দেশে আলোচনা সমালোচনার পাশাপাশি নতুন করে হিসাব- নিকাশ শুরু হয়েছে।দীর্ঘ দেড় যুগ অপেক্ষার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে দিন বদলের জাগরণী সংগীত শোনা যাচ্ছে।কোন রাজনৈতিক দল থেকে কে পেতে যাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন।বিশেষ করে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র বিএনপি’র মধ্যে এই তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয়।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলাম রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন নিয়ে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা লক্ষ্য করা না গেলেও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মধ্যে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় জামায়াতে ইসলামির নির্বাচনী প্রতিক দাঁড়ি পাল্লা নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কোন প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা না গেলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মধ্যে এই প্রতিযোগিতা চরমে।এর ব্যত্যয় ঘটেনি নেত্রকোন-৩ কেন্দুয়া আটপাড়া নির্বাচনী এলাকায়।এখানে আওয়ামী শাসন আমলে যে সকল বিএনপি নেতারা সবচেয়ে বেশি মামলা হামলা নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুঃসময়ে বিএনপিকে এলাকায় সুসংগঠিত করেছেন,মিটিং মিছিলে রাজপথে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আঁতাত করেননি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের মধ্যে কতিপয় কিছু থাকলেও বাকীরা মৌসুমি পাখি বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের নেতা কর্মি গণ। এখন দলীয় মনোনয়ন পেতে যারা দৌঁড় ঝাঁপ শুরু করেছেন তাদের অনেকেই সারা বছর ঢাকা থাকেন।দলের ক্রান্তি লগ্নে কেউ এলাকাতে ছিলেন না তৃণমূলের সাথে কেউ যোগাযোগ রাখেনি।আওয়ামীলীগের হাতে মিটিং মিছিলে মার খেয়ে দিনের পর দিন হাসপাতালে অসুস্থ অবস্হায় পড়ে থাকলেও কেউ সাহায্য তো দূরের কথা একটি বার খোঁজ খবর ও নেয়নি।মিথ্যা মামলায় কারাগারে গেলে কোন নেতার পক্ষ থেকে জামিনের ব্যবস্হা করা হয়নি।এমন দু:সময়ে একমাত্র রফিক হিলালী আর মজিবুর রহমান মজনু চেয়ারম্যান ছাড়া কাউ কে কাছে পাইনি।কেন্দুয়া-আটপাড়ার অনেক নেতা আওয়ামী লীগের সংগে আঁতাত করে রাজনীতি করেছে।এখন যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন,তাদের সামনাসামনি দেখা তো দূরের কথা নামও শুনিনি কোনদিন। এমন অভিযোগ কেন্দুয়া আটপাড়ার অসংখ্য তৃণমূল নেতা কর্মি ও সাধারণ ভোটারদের। এলাকা সূত্রে জানা গেছে,এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ১।ড.সৈয়দ আলমগীর খসরু, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা। ২।রফিকুল ইসলাম হিলালী,সাধারণ সম্পাদক নেত্রকোনা জেলা বিএনপি। ৩।ইঞ্জিনিয়ার মুস্তফা ইজ্জামান সেলিম, আমরা বিএনপি পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সিআইপি ৪।মেজর অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ আবু বক্কর সিদ্দিক,যুক্ত রাজ্য বিএনপি নেতা। ৫।রোটারিয়ান নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের সহ – মহাসচিব ৬।দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাবেক কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ৭।হাসান বিন শফিক সোহাগ,সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল।৮।অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সজল। ৯।আবেগ ছাত্রদল নেতা ইমরান তালুকদার এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে আছেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, সহকারি সেক্রেটারি জেলা জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলা শাখা।বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে আছেন মাওলানা তরিকুল ইসলাম নূরানী।এবার এলাকার তৃণমূল নেতারা এবং সাধারণ ভোটাররা বলেছেন,এবার কেন্দুয়া – আটপাড়াতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হবে ৪ জনের মধ্যে।যদি দলের প্রতি আত্মত্যাগ,ভালোবাসা, নিপীড়ন, নির্যাতন,মামলা,হামলা সাংগঠনিক নেতৃত্বের কথা বিবেচনা করে মনোনয়ন দেয়া হয় তবে এক্ষেত্রে এগিয়ে রফিকুল ইসলাম হিলালী। পদ- পদবীর বিচারে আলমগীর খসরু,সেনাবাহিনীর বিবেচনায়
দিলে মেজর আবু বকর, তরুণ প্রজন্মের হাতে নেতৃত্ব যাবে এমনটি হলে ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা -ই জামান সেলিম সিআইপি।তবে কেন্দুয়া – আটপাড়াতে এই ৪ জনকে ঘিরেই নতুন গুঞ্জন।এখন কে পেতে যাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন তা দেখার প্রত্যাশায় কেন্দুয়া – আটপাড়ার জনগণ।