ডেক্স রিপোর্ট ( দৈনিক জনতার দেশ)ঃ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দল হিসেবে বিচারের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে আগেই অভিযোগ দিয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম।
আমরা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। সুতরাং বলা যেতে পারে, তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছি। কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে সেটা কাজের গতিধারায় বুঝা
যাবে।এর আগে গণ আন্দোলন নির্মূলের সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামীলীগ সহ ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার চাওয়া হয়েছে। তাজুল ইসলাম বলেন, এখন দলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কাজ করছি। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, চলতি মাসি হয়তো উল্লেখযোগ্য কিছু অগ্রগতি দেখতে পাব। অনেকগুলো মামলার বিচার চলছে, বেশ কয়েকটি মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে। তিনি আরো বলেন, এছাড়া মামলা সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে, বড় বড় মামলার চার্জশিট দাখিল হবে, ফরমাল চার্জ ও দাখিল হবে বলে আমরা আশা করছি। উল্লেখ্য, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ গত ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিডিওটার বরাবরএকটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। দলটির অন্যতম অভিযোগগুলো হলো, গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের শরিক গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ( ইনু) বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি( মেনন) বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গণ আজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ ও জাতীয় পার্টি জেপির বিরুদ্ধে দল হিসেবে গণহত্যার অভিযোগ গঠন এবং তদন্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গত মাসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শুধু শেখ হাসিনা নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদেরও চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।নাহিদ আরো বলেছিলেন, এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের সুযোগ এসেছে। ট্রাইব্যুনালের সামনে শুধু হাসিনা নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ সময় দ্রুততম সময়ের মধ্যে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে যথেষ্ট তথ্য ও উপাত্ত রয়েছে যার ভিত্তিতে দ্রুত বিচারিক কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,৬ অক্টোবর।