বিনোদন ডেক্সঃ চিত্র নায়িকা মঞ্জু দত্ত। বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়িকা। আশির দশকের জনপ্রিয় নায়িকা,চিত্র প্রযোজক,একজন নৃত্য শিক্ষক,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
১৯৫২ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার পশ্চিম অষ্টগ্রামের রায়পাড়ায় এক কায়স্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে মঞ্জু দত্ত জন্ম গ্রহন করেন।
১৯৬৭ সালে অষ্টগ্রাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।
১৯৬৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর চলচ্চিত্রে অভিনয় পেশা শুরু করেন।
১৯৬৯ সালে ‘পারুলের সংসার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেন।
১৯৭০ সালে নায়িকা মঞ্জু দত্ত শিশির চৌধুরীকে বিয়ে করেন। তাদের গর্ভে এক পুত্র সন্তান জন্ম হয়। পরে এই স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়।
১৯৭২ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক রক্তাক্ত বাংলা চলচ্চিত্রে মঞ্জু দত্ত অভিনয় করেন।
১৯৭৮ সালে মধুমিতা ছবিতে নায়ক আলমগীরের সাথে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সেই সময় নায়িকার মঞ্জু দত্তের জনপ্রিয় গান ছিল
ফুল বিনা কোন দিন মালা হয় না
প্রেম বিনা হৃদয়ের জ্বালা যায় না ।
তুমি বিনা আমি একা
সে কি তুমি বোঝ না।
১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “টারজান অব বেঙ্গল” ছবিতে মঞ্জু দত্তের অভিনয় দর্শকদের মনে দাগ কেটে আছে।
১৯৭৮ সালে সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ( প্রাক্তন স্পীকার) ভাতিজা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জুবায়ের চৌধুরীকে বিয়ে করেন।
১৯৮১ সালে পুত্রবধু সিনেমায় নায়ক রাজ্জাকের সাথে অভিনয় করেছেন।
১৯৮৪ সালে ময়মনসিংহ অলকা সিনেমা হলে হায়দার আলী নাটককে অভিনয় করেন মঞ্জু দত্ত ও সুমিতা দেবী। সেই সময় ময়মনসিংহে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুর নায়িকা মঞ্জু দত্ত বসবাস করতেন।
মঞ্জু দত্ত অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো পারুলের সংসার,
সাত ভাই চম্পা, সংগ্রাম, সাধু শয়তান, পুত্রবধু,
মধুমিতা, অচেনা অতিথি, ইশারা,
জীবন সাথী, অনুরোধ, পরিহাস, সোনার খেলনা,
মাস্তান, গৃহলক্ষ্মী, হাসি।
মঞ্জু দত্ত বাংলা ছায়াছবি “হাসি” নিজে প্রযোজনা করেন।
২০০০ সালের ১৮ জানুয়ারি কলকাতা উডল্যান্ডস মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নায়িকা মঞ্জু দত্ত মৃত্যুবরন করেন। কলকাতা থেকে নায়িকা মঞ্জু দত্তের লাশ ঢাকা আনা হয়। ঢাকা মোহাম্মদপুরে মঞ্জু দত্তকে দাফন করা হয়।
নায়িকা মঞ্জু দত্তের একমাত্র পুত্র সন্তান রাজু চৌধুরী লন্ডনে বসবাস করছেন।
তথসূত্র: ফিল্ম আর্কাইভ থেকে সংগৃহিত।