সৈয়দআবদালআহমেদ:জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স তিন কর্মকর্তা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। এদের দুজন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার রয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন এবং এরা এনএসআইয়ের গোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ নদী ও চুরি করে নিয়ে গেছেন বলে নির্ভরযোগসূত্রে জানা গেছে। এই কর্মকর্তারা হলেন এমএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক বদরুল আহমেদ বিদ্যুৎ পরিচালক আমিনুল হক পলাশ ও সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন খন্দকার। দুবাই কনসুলেট কলকাতা মিশন এবং ঢাকা থেকে এরা পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। আমিনুল পলাশ বিকল্প পাসপোর্টে ভারত থেকে ব্রিটিশ ভিসা নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেলেও অন্য দুই কর্মকর্তা কোন দেশে পালিয়ে গেছেন এন এস আই এর সদর দপ্তর এখন পর্যন্ত সনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনা গোয়েন্দা সংস্থাটিতে রহস্যের সৃষ্টি করেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে পলাতক তিন কর্মকর্তার মধ্যে আমিনুল হক পলাশ প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস এর বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের দায়ের করা সব মামলা ও তাকে হয়রানির কারিগর হিসাবে পরিচিত। রয়েল এজেন্ট হিসেবে কাজ করার কারণে আসল কথাটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য তিনি রয়ের কাছে পাচার করেছেন। ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট জারি হলেও বিকল্প পাসপোর্ট সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে তিনি লন্ডনে পালিয়েছেন এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে কলকাতার কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। সপক্ক ত্যাগ করে এভাবে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে এখনো রাষ্ট্রদ্রোহ কোন মামলা হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান কলকাতা ও দুবাই থেকে পালিয়ে যাওয়া এনএসআইয়ের দুই কর্মকর্তাকে দেশে তলব করলেও তারা আসেননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ জারির পর তাদের ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট লাল পাসপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে।পলাতক কর্মকর্তা আমিনুল হক পলাশ সম্পর্কে আরো জানা গেছে তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জুবায়ের, শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর পেছনে লাগিয়েছিলেন । তার কাজ ছিল ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা। এর মধ্যে রয়েছে ডক্টর ইউনুসকে ফাঁসানো জেলে বন্দি করা আদালত প্রাঙ্গনে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মাধ্যমে কষ্ট দেওয়া এবং তার আন্তর্জাতিক সম্মান মাটির সঙ্গে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। পলাতক যুগ্ম পরিচালক বদরুল রয়ের করেছেন।তার দায়িত্ব ছিল ২০১৮ সালের রাতের ভোট ও ২০২৪ সালের দামি নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা। ইনি এনএসআইয়ের তৎকালীন ডিজি টিএম জুবায়ের এর নির্দেশে টাকা পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পলাতক সহকারী পরিচালক তানভীর জাল সার্টিফিকেট দিয়ে এনএসআইয়ের চাকরিতে যোগদান করেন। তার বাবা এম খোরশেদ হোসেন সাবেক ডিজি তিনিও পালিয়েছেন। এন এস আই কর্তৃপক্ষ সংস্থাটির তিন কর্মকর্তা পালানোর বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেছেন।পলাতক পরিচালক আমিনুল হক পলাশের ব্যাপারে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা কে সিক্স অবহিত করা হয়েছে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানা গেছে। ” র ” এর এজেন্ট বলে পরিচিত জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসআইয়ের এই তিন কর্মকর্তার বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন দেশের সচেতন নাগরিক সহ রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল।
তথ্যসূত্র: দৈনিক আমার দেশ।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রোজ বুধবার।