👤সৈয়দ রাজু আহমেদ, বিভাগীয় প্রতিনিধি( ময়মনসিংহ)
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারী চাকরি ভাগিয়ে নিয়ে হয়েছেন কোটিপতি। এমন প্রতারণামূলক অভিযোগ এসেছে ময়মনসিংহ সদর ৫ নং সিরতা ইউনিয়নে চর ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা হোসেন শহিদ সারোয়ার ওরফে এ কে এম সারোয়ারের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায় জন্ম সনদ নং- ১৯৮০৬১১৫২৯৪১১৪৩৬৯ অনুযায়ী হোসেন শহিদ সারোয়ারের পিতা গিয়াস উদ্দিন, মাতা নুরজাহান বেগম। সারোয়ারের পিতা মৃত এবং তিনি একজন সাধারণ কৃষক ছিলেন।
জন্ম সনদ গোপন করে জাতিয় পরিচয় পত্রে (নং ১৯৮৪৬১১৫২৯৪৬৮০৩৩৫) নাম পরিবর্তন করে এ কে এম সারোয়ার, পিতা এ কে এম আমান উদ্দিন, মাতা মোছাঃ মোমেনা খাতুন বনে যায়। তথ্যমতে হোসেন শহিদ সারোয়ারের চাচা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আমান উদ্দিন। সারোয়ারের দাদা ছিলেন মৃত মোসলেম উদ্দিন। সারোয়ারের চাচা মৃত আমান উদ্দিন ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান স্কুল শিক্ষক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি নিঃসন্তান অবস্থায় ২০০৫ সালে মৃত্যু বরণ করেন। চাচার মৃত্যুর পর চাচার মুক্তিযোদ্ধা সনদকে কাজে লাগিয়ে সারোয়ার জন্মদাতা পিতার নাম পরিবর্তন করে পিতার স্থলে তার চাচা মৃত এ কে এম আমান উদ্দিন কে পিতা হিসাবে উল্লেখ করে সে মুক্তিযোদ্ধা চাচার সন্তান বনে যায়। পরবর্তীতে “বি.আর.টি এ” এর হিসাব সহকারী সার্কুলার হলে তার নাম পরিবর্তন করে এনআইডির মাধ্যমে চাচার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী ভাগিয়ে নেয়।
সারোয়ারের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা চলমান, এ সকল অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু বলবে না বলে জানান। জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরী পাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান সবই ম্যানেজের বিষয় এবং তিনি উল্টো প্রতিবেদককে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে তাকে ভাইরাল করার উৎসাহ
প্রদান। বিষয় টির সত্যতা নিরূপণ করত: সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ
কামনা করছি।