শাহ আলী তৌফিক রিপন
কেন্দুয়া,নেত্রকোনা।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় অটোচালক গোলাম রব্বানী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও।
গত ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের গাবর কালিয়ান গ্রামের হায়েছ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে অটোচালক গোলাম রব্বানীকে রায়বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে রিজার্ভ ভাড়া করে ফেনারগাতি নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত। ফেনারগাতি থেকে রায়বাজার ফেরার পথে বড় কালিয়ান এলাকায় গোলাম রব্বানীর ওপর তারা হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে এবং অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাগনে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার ও তদন্তের অগ্রগতি:
৩০ অক্টোবর গভীর রাতে পুলিশ কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা থেকে জিয়া রহমান (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। সে ইটনার রায়টুটি ইউনিয়নের কাংলা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। তার সাথে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৩০ অক্টোবর ভোরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও এলাকা থেকে বকুল মিয়া (৪২) নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বকুল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে প্রথমে বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার দেয়া তথ্যমতে জিয়াকে আটক করা হয়। আদালতে সোপর্দ করা বকুল মিয়ার দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে জিয়াকে অটোরিকশাসহ আটক করা সম্ভব হয়েছে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
পুলিশ আশাবাদী, শীঘ্রই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিরাও গ্রেপ্তার হবে এবং মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।