শিরোনাম :
কুয়াকাটা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬ লেন সড়কের দাবীতে মানববন্ধন। নরসিংদির বাবুর হাটে ব্যবসায়ী অরুন দেবনাথ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন নরসিংদী জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৫ এর ২য় দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন নরসিংদী ডায়বেটিক হাসপাতাল সমিতির নির্বাচন ২০২৫ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা। _________________________ গৌরিপুরে ( ময়মনসিংহ) ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আদায় গৌরিপুরে মাদক সহ শ্বশুর- জামাই গ্রেফতার জটিল রোগে আক্রান্ত শাম্মী বাঁচাতে চায় ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নরসিংদী ডিসি অফিসের কর্মচারীগণ সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি, কে এই রফিকুল ইসলাম রিফাত ওরফে ট্যারা রিফাত? তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ফেঁসে যেতে পারেন আড়াইহাজার থানার ওসি মো: এনায়েত হোসেন
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

কেন্দুয়ায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, তদন্তে ব্যক্তিমালিকানার প্রমাণ শাহ আলী তৌফিক রিপন, স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী লুৎফর রহমান আলী বাবুলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ জানুয়ারি পশ্চিম মোজাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা সাথি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা সাথি জানান, ওইদিন সকালে মোজাফরপুর পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বড় রেন্ট্রি গাছ কাটার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি খোকন পাল নামে একজন কাঠুরিয়াকে গাছ কাটতে দেখে এর কারণ জানতে চাইলে, কাঠুরিয়া জানান যে লুৎফর রহমান আলী বাবুল এবং মো. রশিদ মিয়া গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক কাঠুরিয়াকে গাছ কাটা বন্ধ করতে বললে কাঠুরিয়া গাছ কাটা বন্ধ করেন। এরপর উম্মে হাবিবা সাথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে প্রবাসী লুৎফর রহমান আলী বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় অবস্থান করছি। এই সময়ে আমার পৈত্রিক এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি প্রতারণামূলক দলিলের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি শিক্ষাবিভাগের নামে হস্তান্তর করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। প্রকৃত মালিক হিসেবে আমি ২০২৩ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করি। যেই জমিতে গাছটি ছিল, সেটি আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং গাছটিও আমার। গাছের কারণে আমার কৃষিজমিতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল, তাই কিছু ডালপালা কাটিয়েছি।” কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, গাছটি যেই জমিতে ছিল, সেটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। জমির মালিকানার দাবি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ডেকে আলোচনা করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উভয়পক্ষকে নিয়ে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধানের আশা করা হচ্ছে।

Reporter Name / ৭৯ Time View
Update : শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

শাহ আলী তৌফিক রিপন, স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী লুৎফর রহমান আলী বাবুলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ জানুয়ারি পশ্চিম মোজাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা সাথি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা সাথি জানান, ওইদিন সকালে মোজাফরপুর পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বড় রেন্ট্রি গাছ কাটার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি খোকন পাল নামে একজন কাঠুরিয়াকে গাছ কাটতে দেখে এর কারণ জানতে চাইলে, কাঠুরিয়া জানান যে লুৎফর রহমান আলী বাবুল এবং মো. রশিদ মিয়া গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক কাঠুরিয়াকে গাছ কাটা বন্ধ করতে বললে কাঠুরিয়া গাছ কাটা বন্ধ করেন। এরপর উম্মে হাবিবা সাথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে প্রবাসী লুৎফর রহমান আলী বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় অবস্থান করছি। এই সময়ে আমার পৈত্রিক এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি প্রতারণামূলক দলিলের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি শিক্ষাবিভাগের নামে হস্তান্তর করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। প্রকৃত মালিক হিসেবে আমি ২০২৩ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করি। যেই জমিতে গাছটি ছিল, সেটি আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং গাছটিও আমার। গাছের কারণে আমার কৃষিজমিতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল, তাই কিছু ডালপালা কাটিয়েছি।”

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, গাছটি যেই জমিতে ছিল, সেটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। জমির মালিকানার দাবি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ডেকে আলোচনা করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উভয়পক্ষকে নিয়ে ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব নিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধানের আশা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category