মুহাম্মাদ উমর ফারুক, বগুড়া, প্রতিনিধি।
প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইসলাহুল উম্মাহ মাদরাসায় কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও হিফজ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহ.বার সকাল ১০টায় মো. সুমন শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হাফেজ তৈয়ব খন্দকার ও বিশেষ অতিথি প্যানেল চেয়ারম্যান আ. হাকিম মন্ডল, মাওলানা মারুফুর রহমান, মাওলানা আইযুব বিন মঈনসহ মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আনন্দমুখর পরিবেশে অংশ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি বলেন- ‘পবিত্র কুরআন মুখস্থ করা একটি মর্যাদাপূর্ণ কাজ। মহান আল্লাহর কাছে হাফেজদের বিশেষ সম্মান রয়েছে। দুনিয়া-আখেরাতে সফলতা লাভের জন্য আমাদের সন্তানদের মাদরাসায় ভর্তি করে হাফেজ-আলেম বানানো কর্তব্য।
সদ্য হিফজ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী মারুফা ইয়াসমিনের মা বলেন, ‘অধিকাংশ মুসলিম মা-বাবার স্বপ্ন থাকে যে তাদের সন্তান একদিন কুরআনের হাফেজ হবে তাই হিফজ সমাপ্তির পর এ ধরনের সম্মাননা অনুষ্ঠানে নিজ সন্তানকে অংশ নিতে দেখে মায়েরা খুবই আনন্দিত হয়ে থাকেন। কারণ কুরআন হিফজের মাধ্যমে সন্তানরা আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠে। জীবনের যে কোনো প্রাপ্তি ও সফলতার চেয়ে কুরআনের এ প্রাপ্তি আমার কাছে অনেক বড়, অনেক সুখের এবং অনেক সম্মানের। সবার কাছে দোয়া কামনা করি, আমার মেয়েসহ অন্যান্ন ছাত্র-ছাত্রীর সম্মান ও সাফল্যের ধারা যেন আজীবন অব্যাহত থাকে। তারা যেন ইলম-আমল ও আখলাকের আঁকর হয়। সর্বোপরি মহান আল্লাহ যেন তাদের দ্বীনের সেবক হিসেবে কবুল করেন। আমিন।
ইসলাহুল উম্মাহ মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, গ্রামীন জনপদে মানসম্মত দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াতে ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন মুফতি মুহাম্মাদ উমর ফারুক। বর্তমানে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করায় মাদরাসাটি রীতিমতো উপজেলার সেরা মাদরাসা হিসেবে সুনাম ছড়াচ্ছে। প্রধান শিক্ষক বলেন- আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠদানই করি না, আমরা নেই আলোকিত জীবন গড়ার দায়িত্ব। যা একজন শিক্ষার্থীকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
অনুষ্ঠানে হিফজ সম্পন্ন করা ছাত্র-ছাত্রী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট, পাগড়ী, হিজাব ও উপহার তুলে দেন আগত মেহমান ও হিফজ ক্লাসের শিক্ষকগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিফয বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো. মিজানুর রহমান, এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো. মিজানুর রহমান মজনু, আব্দুল হান্নান, মাদরাসার পরিচালক মো. আবু হানিফ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মাও. ওবায়দুর রহমান, শিক্ষা পরিচালক মুফতি আতিকুর রহমান, মুফতি শরিফুল ইসলাম, হাফেজ আনাছ বিন হাবিব, মাও. আইযুব আলী, মুজাহিদ হাসান, মাও. নাজমুল হাসান, মাও. আবুল হাসান, মাও. আব্দুল মতিনসহ বালক-বালিকা শাখার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকগণ। অনুষ্ঠান শেষে মুসলিম উম্মাহ, দেশ-জাতি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নতি-সমৃদ্ধির জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।