রিপোর্টার : মোঃ মোস্তফা কামাল (শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি গাজীপুর)
বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। টানা তিন মাসের বেশি সময় ধরে পার্কটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এই সাফারী পার্কটি বন্ধ রয়েছে। ঐদিনই উত্তেজিত ছাত্র জনতা সাফারী পার্কে হামলা করে মেইন ফটক ভাঙচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে। পার্কের ভিতরের অফিস এবং কিছু ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় তারা। সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষ ঐদিন থেকেই পার্কটি বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের এই সময়টায় দূর -দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক এসে পার্কে প্রবেশ করতে না পেরে ফেরত চলে যায়। পার্ক কর্তৃপক্ষ এ সময় ভেতরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনার মেরামত ও সংস্কার কাজ শেষ করে। এই সময়টায় পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং কয়েকজন ইজারাদার জানান, গত তিন মাসে তারা অনেকটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করবেন ।
সাফারি পার্কে দায়িত্বরত সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান সরকারিভাবে অনুমতি পাওয়ার পরেই ১৫ ই নভেম্বর থেকে দর্শনার্থীর জন্য সাফারি পার্কটি খুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গাজীপুর সাফারি পার্ক বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন মাওনা ইউনিয়নের বড় রাথুরা মৌজা ও সদর উপজেলার পীরুজালী ইউনিয়নের পীরুজালী মৌজার খন্ড খন্ড শাল বনের ৪৯০৯.০ একর বন ভূমি ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির জন্য নিরাপদ আবাসস্থল হিসাবে পরিচিত। এর মধ্যে ৩৮১০.০ একর এলাকাকে সাফারী পার্কের মাস্টার প্ল্যানের আওতাভূক্ত করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের দেশি ও বিদেশী বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা – ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাফারী পার্কটির অবস্থান। সপ্তাহে ছয়দিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য পার্কটি খোলা থাকে। প্রতি মঙ্গলবার পার্ক সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে।