ফোরকানুল ইসলাম, কলাপড়া(পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন বলেছেন, এই বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে, দেশের মানুষ তাদের ভোটদানের মাধ্যমে বিএনপিকে জয়যুক্ত করেছেন।
বিএনপি’র অহংকার আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু রাখবেন। যাতে করে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি আরো বলেন গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ থাকাকালীন সময় এদেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দেয়নি। শুক্রবার (০৮)নভেম্বর উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত চাকামইয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের জনসভায় একথা বলেন তিনি । বিএনপিরে এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা ভগ করতে ছিলেন কে কোন মন্ত্রণালয়ে নিবেন। কিন্তু জনগণ যখন ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তারা কিন্তু বিএনপিকে জয়যুক্ত করেছেন। বিএনপি ভোট চুরি,জুলুম, হত্যা ও গুমের রাজনীতিকে বিশ্বাস করে না তারা জনগণের রাজনীতিকে বিশ্বাস করে। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ একটি বক্তব্য বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের সরকারের কোন কারণে পতন ঘটলে পরের দিন ৫ লক্ষ লোককে বিএনপির নেতারা মেরে ফেলবে। কিন্তু ০৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাবার পরে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাংলাদেশের কোন একজন আওয়ামী লীগকে বিএনপি হত্যা করেনি।
চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ূন সিকদার। ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুছা তাওহীদ নান্নু মুন্সি, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান টুটু বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খন্দকার, চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম সিকদার এবং কামরুজ্জামান কাজল তালুকদারসহ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিকাল ৩টা থেকে জনসভাস্থলে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জনসভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।