আনোয়ার হোসেন শাহীনঃ
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। মানুষের জীবন বাঁচাতে মানুষই পাশে দাঁড়ায়, সহায়তার হাত বাড়ায়। সমাজের বিত্তবানরা সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়ালে বেঁচে যেতে পারে শাম্মী ।
Progressive Myoclonic Epilepsy নামে জটিল রোগে আক্রান্ত শাম্মী। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা সহনাটি ইউনিয়নে গিদাউষা গ্রামে। বাবা পালাকার শামীম বয়াতি, মেয়ে মোছাঃ শাম্মী আক্তার বর্তমান বয়স ১৮ । সে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়ে ছিল স্কুলে, লেখাপড়া করে বড় হবে । কিন্তু এ সময়ে দেহে বেঁধেছে জটিল রোগের বাসা। প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে যাতায়াত ছিল।
সারা দেহে প্রচন্ড কিছুনি উঠে, ১২ বৎসর বয়সে রোগটি ধরা পড়ে। আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। অসহায় বাবা পালাকার শামীম বয়াতী একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে জমি জমা বাড়ী বিক্রি করেও মেয়ের চিকিৎসার জন্য উজার করে দিয়েছেন। ইতমধ্যে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায় করেছেন। করোনা কালিন সময়ে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল ও এভারগীন হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিল। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিওতে ভর্তি।প্রতিদিন এখন কি করবেন দৈনিক দুই তিন হাজার টাকার ওষুধ লাগে।
শামীম বয়াতী জানান,-বিগত ছয় বছর যাবৎ মেয়ের অসুস্থ তার জন্য পালা গাইতে পারেন না, পালা গাইতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ডাক আসতো । পালা,কিসসা থেকে যা আয় হতো তা দিয়ে পরিবার নিয়ে সুখে দিনাতিপাত করতেন। পালা গান গাইতে এখন আর যেতে পারেন না তিনি। পালা গানে ডাক আসলে এখন
সময় দিতে পারেন না, তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছন।আদুরে মেয়েকে বাচঁনোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শাম্মীকে বাঁচাতে লাগবে উন্নত চিকিৎসা দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। সে জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই তিনি শেষ চেষ্টা হিসেবে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন যোগাযোগ ও বিকাশ নাম্মার ০১৭২৯৯৫৯৭০৮
।মেয়ের সুস্থতার জন্য দোয়া প্রত্যাশি।