মাসুদ রানা বাবুল( ক্রাইম রিপোর্টার,দৈনিক জনতার দেশ):
নাম রফিকুল ইসলাম রিফাত ওরফে ট্যারা রিফাত। নেই কোন ব্যবসা বা চাকুরি। থাকার কথাও নয়। কারণ তিনি জুলাই বিপ্লবে একজন ভূয়া সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আহত
ব্যক্তিদের নিকট হতে চাকুরির নামে কৌশলে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে নিয়েছেেন।তাছাড়া পুলিশের নিকট হতে আসামি মুক্তি, মামলা হতে নাম কর্তনের কথা বলে টাকা নেয়া, ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থদের নিকট হতে অভিযোগ দিয়ে অর্থ আদায়, ইউপি চেয়ারম্যান অফিসে বিভিন্ন সনদ নিয়ে দেয়া, ঠিকাদারি লাইসেন্সসহ বিভিন্ন প্রকল্প অফিসে গিয়ে অযাচিতভাবে এবং এখতিয়ার বহির্ভুতভাবে এনসিপি এবং সমন্বয়কদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে তদবির করে ঘুরেন সারাদিন। অথচ জুলাই বিপ্লবের সাথে তার কোন নুন্যতম সম্পর্ক নেই।
কিছুদিন আগে তিনি সমন্বয়ক পরিচর দিয়ে এক ব্যক্তির নিকট চাঁদা আদায় করতে গেলে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়, তখন তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট লিখিত মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।
তিনি চালাকি করে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের দরজায় গিয়ে উকিঝুকি মারেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে তিনি দেখাও করেন। এভাবে তিনি সেবাগ্রহিতাদের বুঝান যে, তিনি সমন্বয়ক এবং তার কথায় কর্মকর্তারা কাজ করেন। প্রয়োজনে তিনি মোবাইলে কথা বলেন এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সাথে কথা বলেছেন মর্মে সাধারন সেবা গ্রহিতাদের বুঝান।
জুলাই বিপ্লবের আবেগকে পূঁজি করে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এবং সন্বয়কদের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারের অর্জন এবং সাফল্য যাতে নষ্ট না হয় এবং সাধারন মানুষ যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা এন.সি.পি’র নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসক মহোদয়, পুলিশ সুপার মহোদয় এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিকট বিভিন্ন পেশার মানুষ অভিযোগ দায়ের করেছেন মর্মে জানা যায়।এই প্রতারক কে
দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল।