কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষাপটে সারা দেশের মতো নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায়ও বিদ্যুৎ এর ব্ল্যাক আউট পর্ব চলছে ।
বৃহস্পতিবার (১৭) সকাল থেকে উপজেলার কেন্দুয়া পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে এই ব্ল্যাক আউট চলমান চলমান বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে । এতে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতসহ জনদূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিশ্বস্ত সূত্রে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের এক প্রেস রিলিজে জানা যায়, আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একত্রীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও চুক্তিভিত্তিক /অনিয়মিত নিয়োগপ্রাপ্তদের স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন চলমান । এরই প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হলেও আরইবির প্রত্যক্ষ অসহযোগিতার কারণে তারা কার্যকর সমাধানের পথ দেখাতে ব্যর্থ হয় । গণস্বাক্ষরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনদূর্ভোগের কথা বিবেচনায় বিভিন্ন কর্মসূচি স্থগিত করে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও চলমান প্রেক্ষাপটে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয় এবং বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কয়েকজনকে গ্রেফতার, ২০জন কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত ও কিছু কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেয়া হয় । এছাড়াও আন্দোলনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে ভূল তথ্য উপস্থাপন ও সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অস্থিতিশীল করার মদতের কারণে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণসহ তাদের যৌক্তিক দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে কমপ্লিট শাটশাউন ও ঢাকামুখী লং মার্চের হুমকি প্রদান করা হয় উল্লেখিত প্রেম রিলিজে ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুনেছি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষে তাদের দাবি আদায়ের জন্যে ধর্মঘট ডেকেছে ও ১২ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে । এটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয় । তবুও আশা করি খুব দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে নিশ্চয়ই ।
#কোহিনূর আলম,