সৈয়দ রাজু আহমেদ :
মুসলমানদের সর্বশেষ ঠিকানা পবিত্র কবরস্থান।সেই কবরস্থানকেই কিছু লোক ব্যবসার জায়গা হিসেবে টার্গেট করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের অবস্থিত কলেজ রোড গোলকি বাড়ি কবরস্থানে কবরবাসীর সুরক্ষা করতে আত্মীয় স্বজন দিচ্ছেন বাঁশের বেড়া ও ইটের বেড়া। আর এই সুযোগেই কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
একটি কবরস্থানে বাঁশের বেড়া দিতে লাগে ৮ হাজার টাকা ও একটি কাঠের বেড়া রং করে লাগালেই দিতে হয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এই টাকা যায় কোথায় কারা নেয় এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদারের কাছে। প্রশ্নের জবাবে উনি বলেন কবরস্থানে কাঠ বাঁশ ও ঢালাই করার অনুমোদন কখনো সিটি কর্পোরেশন দেয় না। তবে ১২/৬ ইঞ্চি ঢালাই নেম প্লেট লাগানোর জন্য ২০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেওয়ার একটি বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন টাকা জমা নেওয়ার পাকা রশিদ দেয়, সেই সাথে নাম ফলকটির ৫ বছরের জন্য রাখার অনুমতি পত্র প্রদান করে। এ ছাড়া কবরস্থানের সাথে সিটি করপোরেশন আর কোন লেনদেন করে না। কোন ভুক্তভোগী যদি লিখিত আকারে অভিযোগ সিটি কর্পোরেশনে প্রেরণ করেন তাহলে তা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এর সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরপর কবরস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদেম সাহেবের সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উনি জানান আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছুই করিনা। আমাকে ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জনাব নিয়াজ মোরশেদ সাহেব যে ভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন আমি সেই মোতাবেক কাজ করেছি।
ময়মনসিংহ সিটির সবচেয়ে বড় গোরস্থান হলো গোলকি বাড়ী কবরস্থানে টাকার বিনিময়ে কবর স্থায়ী পাকা করন ও বেড়া দেওয়ার কার্যক্রম চলতে থাকলে ভবিষ্যতে লাশ দাফন নিয়ে শংকায় পড়তে হবে বলে ৫ নং ওয়ার্ড বাসি ও সাধারণ মুসল্লিরা জানান।
ময়মনসিংহ সিটির স্থায়ী মুসলিম জনগন ময়মনসিংহে মাননীয় বিভাগীয় কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উনারা বলছেন যত দ্রুত সম্ভব এর তদন্ত-পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি। এ বিষয়ে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিল মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেওয়াজ মুর্শেদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।