ধারাবাহিক পর্ব…১
মাহবুবুর রহমান খান:
সম্প্রতি জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক ছয়টি প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তরে কর্মরত যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের পদে থাকা প্রশাসনের ৩৩ জন কর্মকর্তাকে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওএসডি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেইসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের এ,আই জি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন)ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর গুলি বর্ষণ সহ শেখ হাসিনার পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি ( শেখ মুজিব বংশদর)এবং তার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পুলিশ বাহিনীর যে সকল বিতর্কিত সদস্যগণ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশে অরাজকতা এবং গুম হত্যার নাটক সাজিয়েছিল তাদের চিহ্নিত করে নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।প্রাথমিক ধাপে অপরাধীর তালিকায় শীর্ষে
আছেন,১।সাবেক আইজিপি ০৬ জন ২।সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ৩৬ জন ৩।সাবেকও বর্তমান ডিআইজি ২২ জন
৪।সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ০৬ জন ৫।সাবেক এসপি ৫৭ জন ৬।সাবেক এডিশনাল এসপি,৫৭ জন ৭।অফিসার- ইনচার্জ ( ওসি) ১৫৩ জন
৮।এস.আই ( সাব-ইন্সপেক্টর)২৭৬ জন
৯।এ.এস.আই ( এসিস্ট্যান্ট সাব- ইন্সপেক্টর) ৮৯ জন।
এই তালিকায় শতাধিক অভিযুক্ত পুলিশ
কনস্টেবল ও রয়েছেন।দৈনিকজনতার দেশ পোর্টালে
ক্রমান্বয়ে ধারাবাহিক ভাবে সকলের নাম প্রকাশিত হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওএসডি হওয়া কর্মকর্তা যারা ২০১৮ সালের প্রহসনমূলক জাতীয় নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেবিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক ভিসির দায়িত্বে ছিলেন এবং যাদের কে অপরাধী তালিকায় রাখা হয়েছে তারা হলেন ১।মন্ত্রি
পরিষদের স্হানীয় যুগ্ম সচিব কাজি এমদাদুল ইসলাম ২।দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা মন্ত্রণালয়ের
যুগ্ম সচিব অন্জন চন্দ্র পাল
৩।দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো: মতিউল ইসলাম ৪।কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাবিনা
ইয়াসমিন ৫।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক আতাউল গণি ৬।সমাজকল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন
৭।নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এসএম মোস্তফা কামাল
৮।পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোছাঃ সুলতানাপারভীন
৯।কিশোরগন্জ- মিঠামইন উড়াল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার মুর্শেদ ১০।জাতীয় সমাজকল্যান
পরিষদের নির্বাহী সচিব শহিদুল ইসলাম ১১। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন ১২।আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ আলী আকবর ১৩।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ দাউদুল ইসলাম ১৪।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ জেড এম নুরুল হক ১৫।বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক এস এম অজিউর রহমান১৬।ঢাকা উত্তরসিটি কর্পোরেশন এর সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ১৭।সড়কপরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব গোপাল চন্দ্র দাস ১৮। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী আবু তাহের ১৯।শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান ২০।রাজউকের সদস্য মোঃ আব্দুল আহাদ ২১।মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব আনারকলি মাহবুব২২। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য নরসিংদীর সাবেক ডিসি ফারহানা কাউ নাইন ২৩।বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মাহমুদুল কবির মুরাদ ২৪।শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ আবুল ফজল মীর ২৫।কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক মইনুল ইসলাম ২৬।নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান২৭। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ.কে এম মামুনুর রশিদ ২৮।অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম আব্দুল কাদের২৯। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য এ কে এম কামরুজ্জামান সেলিম৩০।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক কবির মাহমুদ ৩১।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক মাহমুদুল আলম ৩২।একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আয়াতউদ্দৌলা ৩৩।বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক
মঈন-উল ইসলাম।এই আমলা দের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যালট জাল জালিয়াতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে করার মূল পরিকল্পনাকারী। তা ছাড়া গত জুলাই- আগস্ট ২০২৪ তাদের যোগসাজসে শেখ হাসিনাসহ সমগ্র মুজিব পরিবারের নির্দেশ ক্রমে দলীয় মুখপাত্র ওবায়দুল কাদের এর মাধ্যমে ভিন্ন রাজনৈতক মতাদর্শের
নেতা কর্মি সহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র- জনতার ওপর গুলি চালাতে পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যকর অস্হিতিশীল পরিস্হিতর সৃষ্টি করে।সমগ্র দেশে মুজিব পরিবারকে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক
পরিবহন ও সেতু মন্ত্রি ওবায়দুল কাদের এর নির্দেশে প্রতিটি মহানগর, বিভাগ, জেলা -উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌর কর্পোরেশন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে মুজিব পরিবারের সদস্য সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং পুলিশের তৎকালীন তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি,কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক Rab প্রধান ও আইজিপি বেনজির আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক,সাবেক আইজিপি চৌধুরী
আবদুল্লাহ- আল- মামুন, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক তৎকালীন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ সহ সকল বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার, থানা অফিসার- ইনচার্জ (ওসি) চ জেলা -উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সহ এই প্রহসন মূলক নির্বাচন এবং জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ দেশে অরাজকতা,গুম হত্যার
সংগে সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। দিনশেষে ফলাফল কিছু আমলা, মুজিব পরিবারের গৃহপালিত পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাগ্যন্নোয়ন।অপরপক্ষে
বিক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক শতাধিক নিরপরাধ পুলিশ কে পিটিয়ে হত্যা।থানা- পুলিশ ফাঁড়ি জেলখানায় অগ্নি সংযোগ, অস্ত্র লুট ইত্যাদি ইত্যাদি। সংগে সংগে পুলিশ
চেইন অব কমাণ্ড ভেঙ্গে যায়।দেশে শুরু হয় চুরি,ডাকাতি
চাঁদাবাজি, খুন,রাহাজানি।মাদকে ছেয়ে যায় সমগ্র দেশ।
দেশের প্রতিটি মানুষ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতে থাকে।
এই পলিটিক্যাল ম্যাসাকারে সাধারণ মানুষের চেয়ে ক্ষতি গ্রস্হ হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। জনরোষে কোন
আমলা সেদিন নিহত হয়নি।আমলাদের বদলি কামলার
মাসুল পুলিশ আজ হারে হারে টের পাচ্ছেন।

ধারাবাহিক চলবে——
তথ্যসূত্র
১। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন পত্র
২। বিভিন্ন প্রিন্ট-ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ
৩। পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন কর্তৃক বিভিন্ন প্রিন্ট এণ্ড ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
৪। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইট।
৫। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট।