শিরোনাম :
নরসিংদী জেলা বিএনপির সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বাউফলে ৩১ দফা উপস্থাপনের লক্ষে বিএনপি নেতার জনসভা কলাপাড়া থানাস্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. লেলিনের অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদ  সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। দুর্ধর্ষ সমর নায়ক মোঙ্গল অধিপতি চেঙ্গিস খান বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র গোলাম মোস্তফা অসহায় আড়াই শতাধিক নারীকে শাড়ী উপহার দিলেন নজরুল ইসলাম সুমন বাউফলে মসজিদ থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার! দৈনিক জনতার দেশ মাল্টিমিডিয়ার সকল সাংবাদিক- প্রতিনিধির জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলিকেন্দুয়ায় গৌরীপুরের পিতা পুত্র দুই ভাষা সৈনিকের কবর প্রথমবারের শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ইউএনও
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

বাংলা ভাষারে রক্ষা করেছিলেন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি

Reporter Name / ৭ Time View
Update : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জনতার ডেক্স রিপোর্ট :হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিলো দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা ফতওয়া জারি করেছিলো, “যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা ‘রৌরব’ নামক নরকে যাবে।” ঐ সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজী নির্যাতিত বাঙালীদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ সালে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারী নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলাজীর বাংলা বিজয়ের মাধ্যম দিয়ে সেইদিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সাথে মুক্ত হয়েছিলো বাঙ্গালীদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।

ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, “মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।” অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।”

মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্য চর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করে।

বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা পরবর্তীতে যুগে যুগে আরো হয়। ১৮শ’ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবী ও ফারসী শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্য চর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়, “বাংলা ভাষার সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই”।

মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছে। অথচ ১৮৮৬ সালে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু পূর্বে ১৮০৮ সালে বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ সনে মৌলভী নাঈমুদ্দীন পূর্ণাঙ্গ কুরআন মাজীদের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category