ফোরকানুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জের প্রান্তিক গফফার মোল্লা ক্রয়কৃত সম্পত্তি ও বাড়ীঘর জবর দখলসহ মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন । বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটায় কলাপাড়া রিপোর্টস ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় । এসময় উপস্থিত ছিলেন গফফার মোল্লার পুত্রবধূ হাসিনা বেগম, স্ত্রী স্বরভানু বেগম, মেয়ে সালমা, রুমানা, ছেলে রাসেল মোল্লা।
লিখিত বক্তব্যে গফ্ফার মোল্লা বলেন, অতি দুঃখ-কষ্ট বেদনা নিয়া এই বৃদ্ধ বয়সে আপনাদের দারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছি। আমার স্থায়ী ঠিকানা মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আজিমদ্দিন গ্রামে। জীবিকার সন্ধানে ১৯৯৮ সালে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা গ্রামের ছোহরাব হাওলাদার এর কাছ থেকে ১৯৯৮ সালে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ী-ঘর-বাগান পুকুর নির্মান করিয়া স্থায়ীভাবে বসবাস করি। পরবর্তীতে ২০১২ সালে জালাল মীরের কাছ থেকে ১০ শতাংশ, ২০১৯ সালে দুলাল আকন গংদের নিকট হইতে সাড়ে ৪৪ শতক, ২০২০ সালে আমিরুল ইসলামের কাছ থেকে ১৩ শতক, শাহআলমের কাছ থেকে ৩৩ শতক, ২০২৩ সালে ১২জন সেনা সদস্যের কাছ থেকে ২১ শতক, ২০২৪ সালে কহিনুর বেগম হইতে ০৬ শতক জমি ক্রয় করি।
ক্রয়কৃত জমিগুলো একই এলাকার রফিকুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন সান্টু, রাসেল, আবদুল হক আমার প্রতিটি দলিলের জমি হইতে অধিকাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করিয়া নিয়া সীমানা প্রাচীর করার চেস্টা চালায়। বাধা দিতে গেলে আমার স্ত্রী ও পুত্রবধুকে এলোপাথারী মারধর করে। এনিয়ে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতে (৬৯৫/২০২৪) মামলা করি। সেনাবাহিনী, ওসি কলাপাড়া থানা এবং নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল কোটে আইনী সহায়তা ও ক্রয়কৃত জমি রক্ষার জন্য একাধিক অভিযোগ করি।, প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত হয় এবং সত্য প্রমানিত হয়। প্রতিবেদনের বিষয় জানতে পেরে সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়া মানববন্ধক করেন। তিনি সুষ্ট বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, গফফার মোল্লার সাথে সুপ্রতিবেশী মুলক সম্পর্ক রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধীদের জের ধরে তিনি আমাকে সহ আমার মামা এবং তার ছেলেকে ধর্ষণ মামলার আসামি করেন। এর প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।