শাহ আলী তৌফিক রিপন,বিশেষ প্রতিনিধি :
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় অবৈধ সেচ পাম্পের লাইন বিচ্ছিন্ন ও লাইসেন্স বাতিলের ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামের কৃষকরা এ অভিযোগ তুলেছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাবুল মিয়া গং অবৈধভাবে সেচ পাম্প স্থাপন করে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছিলেন। বৈধ বোরিং লাইসেন্সধারী রফিকুল ইসলাম মুকুল এ বিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুল মিয়ার সেচ পাম্পের লাইসেন্স ও সংযোগ বাতিল করা হয়।
লাইসেন্স বাতিল এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও বাবুল মিয়া গং পুনরায় সংযোগ চালুর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাবুল মিয়া এবং তার সহযোগীরা তাদের অবৈধ সংযোগ পুনরায় চালু করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আদিম পেশীশক্তির প্রদর্শন করে গ্রামবাসীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
কৃষক জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, “বাবুল মিয়ার অবৈধ লাইন বাতিল করা হলেও বোরিং রিমুভ করা হয়নি। বরং তারা পুনঃসংযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে লাইন বিচ্ছিন্ন করার পর থেকেই তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে।”
বাবুল মিয়ার ছেলে ছোরাব মিয়া সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “এটা নিয়ে আলোচনা চলছে, এর বেশি কিছু বলতে পারব না।” মুঠোফোনে বাবুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা কারো ওপর হামলার হুমকি দিইনি, আমরা মিলেমিশে বসবাস করছি। পল্লী বিদ্যুৎ এর কাজে বাধা দিইনি। তাছাড়া তার, খুঁটি ইত্যাদি মালামাল আমাদের।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, “বাতিলকৃত লাইন পুনঃ সংযোগের কোনো সুযোগ নেই। উভয় পক্ষকে ডেকে কোনোরকম সংঘর্ষে না জড়াতে সতর্ক করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে বোরিং রিমুভ করতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলার সেচ কার্যক্রম নিয়ে চলমান এই জটিলতা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। সেচ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং কৃষকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।