মো: নূরুল ইসলাম: গত ১৮ ফেব্রুয়ারী প্রথম আলো পত্রিকায় ১ম পৃষ্টায় ” বিএনপি ও জামায়াতের ডাকে দোটানায় ইসলামি দলগুলো’ শিরোনামে ‘নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি’ কলামে স্পষ্টত: বুঝা যাচ্ছে, নির্বাচন জমে উঠেছে। দেশবাসীও চাচ্ছে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের মনমত সরকার গঠন করতে। আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট বলে কোন দলই তাদের পাত্তা দিচ্ছে না, বা তাদের ও যে ভোটার আছে, তা কেউ গনায় নিতে চাচ্ছে না। কয়েক দিন আগে এক টক শো’ তে শুনলাম, আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া নেতাদের সংখ্যা ১% হবে কি? আসলেই যারা পালিয়েছেন, তাদের সংখ্যা আর কত জনই হবে বড়জোর ২/৫ হাজার, এর বেশী হবে বলে মনে হয় না। বাকী আওয়ামী লীগের সমর্থক / ভোটার কিন্তু ফ্যাসিস্ট নয়, তারা কিন্তু দেশের সম্পদ লুঠ করে নাই বা বিদেশে টাকা পাচার করে নাই, তাছাড়া যারা লুটপাট করেছে, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তাদের প্রতি তৃনমূলের ভোটাররা সন্তুষ্ট ও নয়, তারা শান্তি মত দেশে বসবাসের পক্ষে। তাদের সংখ্যা দেশের সর্ব মোট জনসংখ্যার ৩৫%- ৪০% এর কাছাকাছি, বলে আলোচনা শোনা যায়।
প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী যে সমস্ত দলের সমর্থনের জন্য বিএনপি/ জামায়াত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের কারো সমর্থন ৭-৮% এর উর্ধে নয়।বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা ও কেউ নিতে পারছে না, তাই শেষ পর্যন্ত পলাতক নেতারা বাদে সাধারন ভোটাররা কি করে বসে তা নিয়ে কেউ ভাবছে না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ৩৫%-৪০% ভোটার কি শেষ পর্যন্ত ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে না? আর যদি তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে না দেয়া হয়, তাহলে তো সেই ফ্যাসিস্ট এর উপাধি তাদের জন্য অপেক্ষা করবে বলে জনগন মনে করে।
প্রতিবেদক: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতি বিশ্লেষক।