শিরোনাম :
গৌরিপুরে মাদক সহ শ্বশুর- জামাই গ্রেফতার জটিল রোগে আক্রান্ত শাম্মী বাঁচাতে চায় ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নরসিংদী ডিসি অফিসের কর্মচারীগণ সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি, কে এই রফিকুল ইসলাম রিফাত ওরফে ট্যারা রিফাত? তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ফেঁসে যেতে পারেন আড়াইহাজার থানার ওসি মো: এনায়েত হোসেন ভোলায় ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচিতে লাখো মানুষের ঢল আগামী জুন ২০২৫ এর মধ্যে পিলখানায় ৫৭ সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্হান ধর্মঘট ও স্মারক লিপি প্রদান কেন্দুয়ায় এলডিডিপি প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে খামারিদের মাঝে ট্রলি, ল্যাক্টোমিটার, বার্মিজ ও বেলচা বিতরণ ঘোড়াশাল নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ আরএফ এল এর ড্রাইভার নিহত
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে না যেতে নিষেধাজ্ঞা বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

Reporter Name / ৬২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

==
মাহবুবুর রহমান খান
জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চলাকালে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে না যেতে আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্রসংঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।

তিনি বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা দুই হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন চুপ করে ছিলেন।

এ ছাড়া এটিও কারো অজানা নয় যে তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে একে হাসিনা পালিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে, হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে; অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দীন বহাল আছেন। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি।

তিনি স্রেফ কায়েমি স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন।’
আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দীনকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না। তার উচিত, বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা।

আশা করছি, তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন।’
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এই আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘আমাদের দাবি হলো, ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

পরে এতে সম্পৃক্ত হন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তৃতা, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সংগীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।
প্রতিবেদক: সম্পাদক- প্রকাশক,দৈনিক জনতার দেশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category