সংগ্রহে ঃ জনতার দেশ এন্রটারটেইনমেন্ট:
ম্যাজিস্ট্রেট: তুমি চুরি করেছ?
চোর: না হুজুর। আমি শুধু কবিগুরুর নির্দেশ পালন করেছি!
ম্যাজিস্ট্রেট: তার মানে?
চোর: গতকাল মাঝরাতে একটা গান ভেসে এল…”আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে”।
ভাবলাম আমিই-বা বসে থাকি কেন? আমিও যাই, তাই বেড়িয়ে পড়লাম!
ম্যাজিস্ট্রেট: তারপর?
চোর: উদাস মনে হাঁটছি, হঠাৎ একটা বাড়ি থেকে আওয়াজ এল…”এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে”।
মনে হল আমাকেই ডাকছে। টুক করে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়লাম।
ম্যাজিস্ট্রেট: বলো কি!
চোর: ঘরে ঢুকেই শুনলাম…”ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে”।
বেশ আনন্দ পেলাম। বুঝলাম, আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে কি করব ভাবছি, তখন শুনতে পেলাম…”এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল”।
রবীন্দ্রনাথের আদেশ তো আর অমান্য করা যায় না! সব মালপত্র একজায়গায় জড়ো করে বেঁধে ফেললাম। সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এল…”আজি দখিন দুয়ার খোলা”।
পেছনের দরজা দিয়ে যখন বেড়িয়ে পড়লাম তখন বেরসিক পুলিশ এসে আমাকে ধরল। আমি কত বোঝাবার চেষ্টা করলাম, আমি চুরি করিনি, কেবলমাত্র রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি! ওরা বোধহয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনেনি, কোমরে দড়ি বেঁধে সোজা আপনার কাছে নিয়ে এসেছে।
ম্যাজিস্ট্রেট: ঠিক আছে, ঠিক আছে, তোমাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিলাম। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন?
চোর: “এ পথে আমি যে গেছি বারেবার, ভুলিনিতো একদিনও।”
ম্যাজিস্ট্রেট: যখন জেলে থাকবে, তখন তুমি রবীন্দ্রনাথকে কি বলবে?
চোর: “ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে?”