মাহবুবুর রহমান খান: আমাদের দেশে একটি চিহ্নিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য সামগ্রী চাল,ডাল, তেল,চিনি,আটা,ময়দা, শিশুখাদ্য গুড়ো দুধ,বিভিন্ন জাতের গরম মশলা, ছোলাবুট,খেজুর
পিয়াজ,রসুন,সারা বছর গুদাম জাত করে রেখে প্রতি বছর রমজান মাস, কুরবানির ঈদ এলেই চড়া
মূল্যে তা বাজারজাত করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে।
বিশেষ করে দুই ঈদ মৌসুমে এর প্রবণতা বেশি
বেশি পরিলক্ষিত হয়। বাজার নিয়ন্ত্রন সম্পূর্ণ ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সরকার বিপাকে।
বিশেষ করে সয়াবিন তেল, জ্বালানি তেল,জ্বালানি গ্যাস নিয়ে সারা বছর তাদের রমরমা ব্যবসা। দেশের
অন্যতম রাজনীতি সমালোচক,ব্লগার এ্যাক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্য বর্তমান বাজারে চাল,ডাল,আটা
ময়দা,চিনি, সযাবিন তেল, জ্বালানী তেল, জ্বালানী গ্যাসের চড়ামূল্য এবং কত্রিম সংকটের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তার ভেরিফাইড face book থেকে লাইভে এসে বলেন, দিন দিন এ গুলোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একমাত্র বিজনেস সিন্ডিকেট বসুন্ধরা গ্রুপ,এস, আলম
গ্রুপ, সিটি গ্রুপ এবং আবুল খায়ের গ্রুপ তারাই একমাত্র আমদানিকারক হিসাবে নিত্য পণ্য সামগ্রি গুদাম জাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আসছে।
এবং একচেটিয়া মুনাফা লুটে নিচ্ছে।
পিনাকী ভট্টাচার্য আরো বলেন,
তারা সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব
ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি কৃত বড় বড়
পণ্যবাহি জাহাজ (মাদার ভেসেল) গভীর সমুদ্রে
নোঙ্গর করে রেখে সেখান থেকে ছোট ছোট জাহাজ,
কার্গোতে ভরে তাদের সুবিধা মত জায়গায়
এনে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে গুদামজাত করছে।সরকার ঘুন্যাক্ষরেও টের পাচ্ছেনা জাহাজ থেকে কি পণ্য খালাস হচ্ছে এবং কোথায় যাচ্ছে।গভীর সমুদ্রে গোয়েন্দা নজরদারি না থাকার কারণে এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
তাদের কে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এই চলমান সংকট নিরসন সম্ভব নয় এবং প্রতিটি নিত্য পণ্য ক্রয় সীমার
নাগালেব আসবেনা। তিনি আরো বলেন,
সরকার কে বেকায়দায়
ফেলতে বসুন্ধরা গ্রুপ,এস,আলম গ্রুপ,আবুলখায়ের গ্রুপ,সিটি গ্রুপ যৌথ ভাবে এই চক্রান্ত করছে।এর অন্তর্নিহিত কারণ বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন,উল্লেখিত পণ্য সামগ্রীর দাম যত বাড়বে মানুষ উত্তেজিত
হয়ে সরকার প্রধান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা কে গালি গালাজ করতে থাকবে এবং একটা সময়
নিত্য পণ্যের দাম কমাতে রাজপথে এসে
সরকার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনে নামবে।সারাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্হিতি
তৈরি হবে যা তাদের রাজনৈতিক
পরিকল্পনার একটা অংশ। তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেয়া যাবেনা। তিনি আরো বলেন,বাজারে খেজুরের দাম কমেছে সয়াবিন তেলের দামও
কমিয়ে ছাড়বো। পিনাকী ভট্টাচার্য্য ক্ষোভের সংগে বলেছেন,তাকে যদি বানিজ্য উপদেষ্টা করা হতো তাহলে
তিনি ওই সিন্ডিকেটের গভীর সমুদ্রে নোঙর করা সকল পণ্যবাহি জাহাজ সাগরে ডুবিয়ে দিয়ে
তাদের সমুচিত শাস্তি নিশ্চিত করতেন।
তথ্য সূত্র: পিনাকি ভট্টাচার্যের লাইভ ভিডিও।