ক্রাইম রিপোর্টার নরসিংদী :-
নরসিংদী সদর হাসপাতালের হেড এসিস্ট্যান্ট মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তার প্রভাব এবং ক্ষমতা ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি, বদলি বাণিজ্য, কেনাকাটায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, মনসুরের এই দুর্নীতির জালে তিনি শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে মনসুর ও তার সহযোগীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। বর্তমানে নরসিংদী জেলার প্রতিটি হাসপাতালের নিয়ম বহির্ভূত কন্ট্রাক্টারির দায়িত্ব মনসুরের সিন্ডিকেটের হাতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি এবং বদলি বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি মনসুরের শ্যালক টেন্ডারবাজির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিল, যা এই সিন্ডিকেটের দুর্নীতির পরিধিকে প্রকাশ্যে তুলে ধরেছে।
মনসুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাভিশন, দি ফাইন্যান্সিয়াল পোস্ট, নরসিংদীর সংবাদসহ একাধিক অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়াতে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত খবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিস্থিতির চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। এসব প্রতিবেদনে মনসুরের অস্বাভাবিক সম্পদ, নামে-বেনামে বাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স এবং অন্যান্য সম্পদের উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম শামীম বলেন, "আমি বিভিন্ন পত্রিকায় মনসুর ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ দেখেছি। অনেকেই তার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন। আমার দায়িত্বে থাকাকালীন যদি এমন কোনো অনিয়ম ঘটে থাকে, আমি কঠোর ব্যবস্থা নেব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে একটি দুর্নীতি-মুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য আমাদের। এখানে দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ এবং দলীয় প্রভাবের কোনো স্থান নেই।"
তিনি আরও বলেন, "স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে মডেল স্বাস্থ্য বিভাগে পরিণত করতে চাই। আমরা মানুষের সেবায় কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেও এখনো মনসুর তার পদে বহাল রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
মনসুরের বিরুদ্ধে তোলা এসব অভিযোগের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি, যা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোকে আরও বিতর্কিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অবস্থার উন্নতির জন্য স্থানীয় জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনসুর ও তার সহযোগীদের কঠোর শাস্তি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. মাহবুবুর রহমান খান, নির্বাহী সম্পাদক: মো. মিজানুর রহমান, বার্তা সম্পাদক: হাসান আইয়ুব বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়: ২নং শহীদ তাজউদ্দিন রোড, মগবাজার মোড় রাজ্জাক প্লাজা (৩য় তলা), ঢাকা -১২১৭।
মোবাইল: 01768387638 (সম্পাদক-প্রকাশক), 01716965924 (নির্বাহী সম্পাদক), 01727457562 (বার্তা সম্পাদক)।
আঞ্চলিক কার্যালয়: হাজেরা টাওয়ার (৩য় তলা), রেলওয়ে স্টেশন রোড (খালপাড়), নরসিংদী।
ই-মেইল: aiobhasanar@gmail.com
Copyright © 2024 Daily Janotar Desh. All rights reserved.