শিরোনাম :
নরসিংদীর শেখেরচরে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত মা চট্টগ্রামে ভাগ্নের বিয়েতে পারিবারিক মিলন মেলা কলাপাড়ায় প্রান্তজন এর উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে সৌর বিদ্যুৎ চালিত উপকরণ বিতরণ নরসিংদীতে বাদুয়ারচরে কিশোরীকে ধর্ষণ খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আ. রউফ স্বাধীন, সম্পাদক মাহবুবর রহমান কেষ্টু নির্বাচিত মানববন্ধনে শিশু সন্তানদের নিয়ে স্বামী হারা স্ত্রীর আহাজারি। অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা গ্রেফতার নরসিংদী মাধবদীতে বৃদ্ধ পিতাকে কুপিয়ে হত্যা সন্তানদেরপাল্টাপা ল্টি অভিযোগ। নরসিংদী আলোক বালি মুরাদনগরের নৌকার মাঝি হাবিব নিখোজের ৫ দিন পর মৃত্যু দেহ উদ্ধার করেন নৌ পুলিশ ভোলায় স্মার্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ন

নরসিংদী’র মাধবদীতে সুতার সিন্ডিকেট ! ক্ষতির মুখে সাধারণ টেক্সটাইল ব্যবসায়িরা –

Reporter Name / ৯ Time View
Update : সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫


————————————–

ক্রাইম রিপোর্টারঃ-

নরসিংদী’র দক্ষিণাঞ্চল প্রাচ্যের ম্যানচেস্টার খ্যাত মাধবদী বাবুর হাট এলাকায় সুতা ব্যবসার অন্তরালে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যা কি-না স্থানীয় ব্যবসায়িদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন আনন্দ ইয়াং ট্রেডিং-এর মালিক বিনয় দেবনাথ এবং তার সাথে সিন্ডিকেটে যুক্ত আছেন মাখন , সারোয়ার , জহির , রঞ্জিত , দোলন এবং জয়নাল হাজি। এক সময়ের সাধারণ কর্মচারী বিনয় দেবনাথ তার সু-চতুর পরিকল্পনা ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত সুতার দাম বাড়িয়ে কমিয়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। পাওয়ার লুমের কাপড়ের দাম সামান্য বাড়লেই তারা সুতার দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। এতে করে সাধারণ টেক্সটাইল মিল মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সাধারণ ব্যবসায়িদের দুরাবস্থাঃ-

সুতার সিন্ডিকেটের কারণে মাধবদীর অনেক টেক্সটাইল মালিক ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন অথবা লোকশান দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। অপরদিকে বিনয় , মাখন ও তাদের সহযোগীরা সাধারণ ব্যবসায়িদের রক্ত চুষে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধিতে ব্যস্ত।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য টেক্সটাইল ব্যবসায়িরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। তবে এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পাওয়ার লুম ব্যবসায়ি নয়ন মোল্লা , রবিউল ইসলাম , মোহাম্মদ আলী তারা জানান সুতা ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা পথে বসে গেছেন। কাপড়ের দাম একটু ভাল হলে তারা সুতার দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেন।
এই সিন্ডিকেটের কারণে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে। যদি সঠিক নিয়মে অপব্যবহার বন্ধ করা যায় এবং কালোবাজারিদের নিয়ন্ত্রণ করা হয় তবে সরকার বিপুল রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে। সিন্ডিকেট বন্ধ হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ব্যবসায়িরা লাভবান হবেন।
সিন্ডিকেটের মূল হোতা বিনয় দেবনাথ , আনন্দ ইয়াং ট্রেডিং-এর মালিক যিনি মূল সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন। মাখন ও দোলন বিনয়ের ডানহাত যারা বাজার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখেন।
জহির , রঞ্জিত এবং জয়নাল হাজি স্থানীয় পর্যায়ে সিন্ডিকেট কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মাধবদীর সুতার সিন্ডিকেট শুধু স্থানীয় ব্যবসায়িদের নয় বরং দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা এই সিন্ডিকেটের শিকার হয়ে পথে বসেছেন আর অসাধু ব্যবসায়িরা হয়েছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ।

শীঘ্রই আসছে অনুসন্ধানের পর পর্ব- ( ২ ) দুই !

————————————–


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category