শিরোনাম :
গৌরিপুরে শব-ই মেরাজ উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গৌরীপু্রে শহীদ হারুণ দিবস পালিত হয়নি নাচ ( নৃত্যকলা) এর উপর পি.এইচ.ডি করতে ইচ্ছুক রায়না শিবগঞ্জে২২ কেজি গাঁজা এবং কার্গো ট্রাক সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ইসলাহুল উম্মাহর ৩য় শ্রেণির ছাত্রি মালিহা হাসান নাবা এর অভাবনীয় সাফল্য সাড়ে ৫ হাজার বছর আগের অক্ষত মমি বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিক দের সাথে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী এটর্নি জেনারেল এর শুভেচছা বিনিময় লুৎফুজ্জামান বাবর কে হাসপাতালে দেখতে গেলেন চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ড. সৈয়দ আলমগীর এমবিএ নরসিংদীতে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন কলাপাড়ায় দীর্ঘ ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি লোন্দা দাখিল মাদ্রাসায়। 
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন

জাতীয় রাজনীতি ও সমকালীন প্রসঙ্গ

Reporter Name / ২৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

মো: নূরুল ইসলাম ভুঁইয়া

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ (জুন) ও ২০০৮ (ম ইউ ও ফখর উদ্দিন) এই তিনটা নির্বাচন ছাড়া কোন নির্বাচনই জনগনের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।

১৯৭৩ সনের নির্বাচনে ২৯৩ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ এক তরফা নির্বাচন ও ক্ষমতা দখল করে। ১৫ই ফেব্রুয়ারী/১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল( বিএনপি) গঠনের পর ১৮ ফেব্রুয়ারী/১৯৭৯ সনে এক চেটিয়া নির্বাচনে ২০৭ আসন পেয়ে ক্ষমতা গ্রহন করে, তখন প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন শাহ আজিজুর রহমান।
১৯৮২ সনে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে জাতীয় পার্টী নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে ১৯৮৬ সনে ৭মে নির্বাচনে ১৫৩ আসন পেয়ে ক্ষমতা গ্রহন করে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭৬ আসন পেয়ে বিরুধী দলে আসন গ্রহন করে, সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন করেনি।

১৯৮৮ সনে জাতীয় পার্টী এক তরফা নির্বাচন করে ২৫২ আসন পেয়ে ক্ষমতা গ্রহন করে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নেয়নি৷ বিরুধী দলের নেতা হন আসম আ: রব।

১৯৯১ সনে নির্দলীয় সরকারে অধীনে সুষ্ট নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ আসন পেয়ে জামায়াতের সাথে জোট করে সরকার গঠন করে। কিন্তু বিএনপি ১৯৯৬ সনে ১৫ ই ফেব্রুয়ারী এক তরফা নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন হয় কিন্তু সেই সরকার মাত্র ১১ দিন স্থায়ী হয়েছিল। তবে ১১ দিন সরকারে থেকে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংযোজন করেছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ জুন মাসে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬ আসন পেয়ে জাতীয় পার্টীকে সাথে নিয়ে সরকার গঠন করে। জাতীয় পার্টী পেয়েছিল ৩২ আসন। বিএনপি ১১৬ আসন পেয়ে ছিল বিরুধী দলে।

২০০১ সনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ২য় নির্বাচনে বিএনপি ১৯৫ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে ও আওয়ামী লীগ ৫৮ আসন পেয়ে বিরুধী দলে বসে। তবে ১৯৯১ সনের বিএনপি আর ২০০১ এর বিএনপি’র মধ্যে অনেক প্রার্থক্য দেখা দেয়। এরপর নানান নাটকীয়তার পর ২০০৮ সনে সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে নির্বাচনে ২৩০ আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এই নির্বাচনের পর সুষ্ট নির্বাচন হয়েছে বলে কেউ স্বীকার করে না।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন জামায়াত দল গত ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১৯৮৬ সনে ১০ আসন, ১৯৮৮ সনে অংশ নেয় নাই, ১৯৯১ সনে ১৮ আসন, ১৯৯৬ সনে ৩ আসন, ২০০১ সনে ১৭ আসন, ২০০৮ সনে ২ আসন লাভ করেছিল।
বাংলাদেশের জনগন খুবই স্পর্শকাতর, কখন কোন দলকে জনগন প্রত্যাখ্যান করবে, তা বলা কঠিন। তাছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ অল্প শিক্ষিত, কিন্তু তারা রাজনীতি সচেতন ও দল প্রেমিক। গ্রামাঞ্চলে চা এর ষ্টলে সাধারন জনগনের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা শুনলে বুঝা যাবে তারা রাজনীতিতে কত অভিজ্ঞ, এছাড়া তারা দলের বাহিরে ভোট দিতে চায় না, তারা যোগ্য/অযোগ্য, ভাল মন্দ বুঝে না, তাদের কাছে মার্কা একটা ফ্যাক্টর। কাজেই রাজনৈতিক দল গুলো জনগনের আস্থা অর্জন করে চলার চেষ্টা না করলে ভবিষ্যতে জনগন কি সিদ্ধান্ত নিবে বলা কঠিন। তাই সাধু সাবধান।
লেখক,বীরমুক্তিযোদ্ধা ও অব: কাস্টমস অফিসার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category