মো:নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া (অতিথি রিপোর্টার):জনগণের জান মালের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকার সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন এটাই বাস্তবতা। যখনই জনগনের জানমালের নিরাপত্তা সরকার দিতে পারেনা, তখনই সরকার ব্যর্থ হয়ে থাকে এবং জনগন আস্তে আস্তে সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দৃশ্যত: জান মাল ধ্বংশ না করলেও জনগনের নিরাপত্তা বিধান করেন নাই, যার ফলে অজস্র গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে তাদের পরিনতি হয়েছে ভয়াবহ। এর আগেও এই দেশে লুটপাট, দখল বানিজ্য হয়েছে, যার ফলে অতীত আমল গুলোকে কোন ভাবেই জনগনের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সক্ষম ছিল বলে কেউ মনে করেনা।
ছাত্রজনতার বিপ্লবে পতিত সরকারের পতন হয়েছে ও অরাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।দেশবাসী আশা করেছিল যেহেতু অরাজনৈতিক সরকার, তাদের কাছে ধর্ম, বর্ন, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সকলেই একই রকম সহযোগীতা পাবেন। তবে বর্তমান সরকার যেহেতু একটি সরকারকে পতন ও বিতাড়িত করার পর ক্ষমতায় এসেছে, তাই সেই সরকারের মন্ত্রী/এমপি তাদের প্রতি বিরাগ ভাজন হবেন এটা স্বাভাবিক বলা যায়। কেননা আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত পরমত সহিষ্নু মনোভাব গড়ে উঠেনি।
ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে বেশ তোড়জোর আরম্ভ হয়ে গেছে। তবে কোন নির্বাচন আগে ও কোন নির্বাচন পরে হবে তা নিয়ে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। কেউ চাচ্ছে আগে জাতীয় নির্বাচন, কেউ চাচ্ছে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সরকার পড়েছেন বিপাকে, কার মন রক্ষা করবেন বা কোন নির্বাচন আগে দিবেন? আমার বয়স ৭৫ হয়েছে, আমার বয়সে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছাড়া চলেছে বলে মনে পড়েনা। তবে কোন চেয়ারম্যানের মৃত্যু হলে, ও নির্বাচন সন্নিকটে বা মেয়াদ শেষের দিকে থাকলে পেনেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছেন, তবে সেই পেনেল চেয়ারম্যান ও কিন্তু নির্বাচিত মেম্বার । কিন্তু এবারের মত সারা দেশে নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিহীন দেখা যায়নি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের দিক দিয়ে ছোট হলেও ক্ষমতা ও দায়িত্ব কিন্তু অপরিসীম, চেয়ারম্যান ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ যেন কল্পনাই করা যায় না।
কাজেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগনের আশা আকাংখা পূরন করার দাবী রাখে।