শাহ আলী তৌফিক রিপন বিশেষ প্রতিনিধি
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৪
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার ৮নং বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ইউপি সদস্য আরিফ হোসেন (ভুট্টু) ও সারোয়ার জাহান খান হুমায়ুনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
ইউপি সদস্য আরিফ হোসেনের মতে, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম সভায় চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে নিয়ম অনুযায়ী তিনজন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। সেই নির্বাচনে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হন আরিফ হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সারোয়ার জাহান খান এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ হিসেবে নির্বাচিত হন সংরক্ষিত নারী সদস্য নীলুফা আক্তার সুনাই।
চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মৃত্যুর পর ৮ অক্টোবর ২০২৪ সালে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আরিফ হোসেনকে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে, আরিফ হোসেন অভিযোগ করেছেন যে সারোয়ার জাহান খান তাকে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ করতে বাধা দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছেন।
এদিকে, সারোয়ার জাহান খান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর পরিষদের ১১ জন সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে একটি নতুন সভা করে তাকে (সারোয়ার) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করে রেজুলেশন করা হয়েছে এবং তা ইউএনও বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। আরিফ হোসেনকে পরিষদে প্রবেশে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগগুলো তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য নীলুফা আক্তার সুনাই এবং ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রতন মিয়া জানিয়েছেন যে চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর পরিষদে পুনরায় মিটিং করে আরিফ হোসেনের পরিবর্তে সারোয়ার জাহান খানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয় এবং সেই অনুযায়ী রেজুলেশন করা হয়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আরিফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন বা পরিষদে যেতে না পারেন, তাহলে দ্বিতীয় প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তৃতীয়জনও যদি ব্যর্থ হন, তাহলে প্রশাসন দায়িত্ব নেবে। তবে কোনো অবস্থাতেই ইউনিয়নবাসীকে সেবা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
বলাইশিমুল ইউনিয়নের জনগণ এই দ্বন্দ্বের দ্রুত সমাধান আশা করছে, যাতে পরিষদের সেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলতে পারে।