জনি হামিদঃ(উপজেলা প্রতিনিধি গৌরিপুর,দৈনিক জনতার দেশ)
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর মাতৃসদন কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা চালু ছিল। ছুটির ৩ দিনে ৩ টি সহ রোজার মাসে মোট ৪২টি মায়ের নরমাল ডেলিভারী করা হয়েছে। শহরের পৌরসভা এলাকার মা ও শিশু কেন্দ্রে এ সেবা প্রদান করা হয় ।
সংশ্লিষ্ট মাতৃসদন সূত্র জানা যায় , মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত সহ স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের দায়িত্ব বন্টন ছিল। জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি (জরুরি অস্ত্রোপাচার কক্ষ) ও ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু ছিল। জরুরি এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিতে সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে ছুটি নির্ধারণ করা হয়।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে রোজার মধ্যে ৪২টি নরমাল ডেলিভারী করা হয়। গৌরীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসক তাহসিন কামাল প্রমি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে আমরা নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করেছি। এই ছুটির সময়ে বিশেষ করে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁনরাতে ১টি ঈদের দিন ১টি ও ঈদের ২ দিন পর (২ এপ্রিল) ৩ জন প্রসূতি মায়ের নরমাল ডেলিভারী করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে ময়মনসিংহ জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ঈদুল ফিতরের ছুটি চলাকালীন মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা চালু ছিলো। গত ২৮ শে মার্চ থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটি চলমান থাকলেও গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর কিশোরী সেবাসহ গ্রহীতার চাহিদা অনুসারে পরিবার পরিকল্পনা সেবা চালু রাখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এর পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সাবিনা ইয়াসমিন ও কামরুন্নাহার জানান ঈদের ছুটি উপেক্ষা করে মানুষের সেবা দান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল সেই দায়িত্ববোধ থেকে ঈদের দিনেও আমরা ডেলিভারি করাই। (২৯ মার্চ) শনিবার শিরিনা আক্তার দুপুর ১টা ৫ মিনিটে কন্যা সন্তান, (৩১ মার্চ) সোমবার শহরের চকপাড়ার বাসিন্দা মনোয়ারা রাত ১০টা ১২ মিনিটে পুত্র সন্তান ও (২ এপ্রিল) বুধবার আসমা বেগম সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এছাড়াও আরও ৩ জন প্রসুতী মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সাবিনা ইয়াসমি আরো বলেন ঈদের ছুটির মধ্যেও এই অসহায় মানুষ গুলো আমাদের সেবা পেয়ে দারুণ আনন্দিত।ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা কেন্দ্রগুলোতে সেবাদানের ধরন ছিল চোখে পড়ার মতো এ দৃশ্য শুধু গৌরিপুরেই নয় ময়মনসিংহ জেলা তথা ময়মনসিংহ বিভাগে বিরাজমান। এরকম ব্যতিক্রমধর্মী সেবা প্রদানের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা মতিউর রহমান ও উপ-পরিচালক মাজহারুল হক চৌধুরী প্রশংসার দাবিদার।