শাহ আলী তৌফিক রিপন
বিশেষ প্রতিনিধি
আজ (২১/১১/২০২৪) কেন্দুয়া প্রেসক্লাবে গুলবাগ মসজিদের রক্ষাকারীরা একটি প্রেস ব্রীফিং এর মাধ্যমে জানিয়েছেন, কেন্দুয়া পৌরসভাধীন গুলবাগ জামে মসজিদের মোট ৩১ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে, মরহুম ড. বাহাউদ্দিন মল্লিকের মৃত্যুতে তার ত্যাজ্যবিত্তের অংশ হিসাবে মসজিদের সংলগ্ন দিগদাইর মৌজার ২২৮ নং খতিয়ানের বি.আর.এস ১০২৩ দাগের অধীনে থাকা ১৮ শতাংশ পুকুরটি বেআইনিভাবে দখলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুকুরটি মালিকানার প্রকৃত তথ্য গোপন করে কিছু অসৎ ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে পুকুরটি দখলে নেওয়ার জন্য পায়তারা করছে, যা মসজিদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
সংবর্ধিত ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে মসজিদ কর্তৃপক্ষ একতাবদ্ধ হয়ে এই অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মসজিদের সংলগ্ন ১০২৩ দাগে অবস্থিত ১৮ শতাংশ পুকুরটি সব ওয়ারিশানদের ইহকাল ও পরকালের মঙ্গলার্থে ‘গুলবাগ জামে মসজিদ’ এর নামে ওয়াকফ করা হয়েছে, এবং এই ওয়াকফের দলিল মসজিদের নামে খতিয়ানভুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো ওয়ারিশান এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা দাবি উত্থাপন করতে না পারে, সেজন্য সকল ওয়ারিশান ‘না দাবি নামা’ দলিল সম্পাদন করেছেন।
মরহুম ড. বাহাউদ্দিন মল্লিক জীবিত অবস্থায় তার উত্তরাধিকারীদের অসিয়ত করেছিলেন যে, মসজিদের পাশে অবস্থিত পুকুরটি মসজিদের নামে দান করা হবে। মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিগণও এই অসিয়ত সম্পর্কে অবগত আছেন এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
কিন্তু মরহুম ড. বাহাউদ্দিন মল্লিক ও মরহুম আকিকুন্নেছা মল্লিকের মৃত দুই সন্তান, মরহুম এম এ বাকী মল্লিক ও মরহুম ড. আব্দুল্লাহ হারুনের উত্তরাধিকারীগণ বেআইনিভাবে তাদের পারিবারিক বন্টন নামাকে পাশ কাটিয়ে, এবং তাদের অংশ অন্যত্র বিক্রি করেও, দুইটি পৃথক জমা খারিজের মাধ্যমে এজমালি পুকুরের (বি.আর.এস ১০২৩ দাগের) ৯+৯ শতাংশ, মোট ১৮ শতাংশ জমি বেআইনিভাবে নিজেদের নামে খারিজ করে নেন।
এই ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ডের কারণে মসজিদের পুকুর এবং জমির ওপর অধিকার নিয়ে এক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও ধর্মপ্রাণ জনগণ পুকুরটির মসজিদের নামে পূর্ণ দখল নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব না ঘটে।