👤কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)থেকে এ,কাশেম আকন্দ
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘লা টেক বায়োমাস’ দল মহাকাশে উদ্ভিদ জন্মানোর অনন্য উপায় নিয়ে গবেষণা করছে। আর এই দলটিতে রয়েছে লুইসিয়ানা টেক ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্সের বাংলাদেশী পিএইচডি ছাত্র তারিকুজ্জামান।
মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পেড়ী গ্রামের মরহুম মমতাজ উদ্দিন এবং মোছা: মালেকা খাতুনের সন্তান।
তিনি সান্দিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম, ২০০৭ সালে সান্দিকোনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি, ২০০৯ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি, ২০১৪ সালে খুলনা
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচেলর অফ সাইন্স ইন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হন।শিক্ষা জীবনে তিনি সকল ক্ষেত্রেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
তিনি সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে (২০১৫-২০২০) এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ এর মাধ্যমে চাকরি জীবন শুরু করেন।বর্তমানে তিনি আমেরিকার লুইজিয়ানা টেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অফ সাইন্স ইন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (২০২১-২০২৩), পিএইচডি ইন মাইক্রো এন্ড ন্যানোস্ক্যাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং(২০২১-২০২৫)এ অধ্যয়নরত ।
মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান এর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন ছাত্র জীবন থেকেই তারিকুজ্জামান খুবই মেধাবী এবং জেদি প্রকৃতির ছেলে ছিল।পড়াশোনার ব্যাপারে সে কোন আপোষ করত না। সর্বক্ষেত্রেই সে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।আমি তার সাফল্য কামনা করি।
তারিকুজ্জামানের প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক মাহবুব আলম বলেন আমি ছোট কাল থেকেই দেখেছি তিনি খুবই দুরন্ত এবং মেধাবী ছিলেন।সব সময় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন।আমি তার সাফল্য কামনা করি।
তারিকুজ্জামানের বড় ভাই জিলু মিয়া বলেন আমরা ৫ বোন ও ৩ ভাই।ভাইদের মধ্যে তারিক সবার ছোট।সে ছোট কাল থেকেই পড়াশোনার প্রতি খুবই মনোযোগী ছিল।তার পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোন নেশা ছিল।সারাক্ষন শুধুই পড়ত।তার ইচ্ছে ছিল বড় বিজ্ঞানী হবে।তার এ সফলতায় আমাদের পরিবারের সবাই খুবই খুশি। সে আমাদের কেন্দুয়ার তথা বাংলাদেশের গৌরব।
মোহাম্মদ তারিকুজ্জামানের সাথে WhatsApp এ কথা হলে তিনি বলেন বর্তমানে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘লা টেক বায়োমাস’ দল মহাকাশে উদ্ভিদ জন্মানোর অনন্য উপায় নিয়ে গবেষণা করছি। আমরা মানুষের মূত্র ব্যবহার করে মাটি ছাড়া মহাকাশে কৃষি চাষের সম্ভাবনা দেখছি।
তিনি আরো বলেন আমাদের দলটি আরো নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কার করার কথা ভাবছি।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন আমি আপনার মাধ্যমে জেনেছি কেন্দুয়া উপজেলার পেড়ী গ্রামের মরহুম মমতাজ উদ্দিন সাহেবের সন্তান মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান নাসা’র গবেষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।আমি তার সফলতা কামনা করি।