ফোরকানুল ইসলাম, কলাপাড়া
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাপড়াভাঙ্গা (শিববাড়িয়া) নদীর দখল দূষণ এবং বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ক উপকারভোগী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি’র (বেলা) আয়োজনে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। পরিবেশকর্মী মেজবাহউদ্দিন মাননুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি হুমায়ুন কবির। খাপড়াভাঙ্গা নদীর সমস্যা ও বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন।
একসময়ে অন্তত ১২০ মিটার প্রস্থ এ নদীটি দখল দূষণে বর্তমানে ২০-৩০ মিটারে এসে নেমেছে। নদীর দুই তীরে আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরের কয়েকশ’ ব্যবসায়ী তাদের সকল বর্জ্য নদীতে ফেলছে। প্লাস্টিক, পলিথিন, ছেড়া জাল ও কর্কসিটের দূষণে একাকার হয়ে গেছে। নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছে শত শত স্থাপনা। এ কারণে নদীর প্রবেশ পথ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় নদীতে ভাটার সময় ট্রলার চলাচল করতে পারছে না। তাই এ নদীর দখল ও দূষণ বন্ধে সরকারি সহায়তা কামনা করেন নদী তীরের বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা। নদী তীর দখল করে তোলা ইটভাঁটি ও করাতকল অপসারণের দাবি করেন বক্তারা। জেলেরা জানান, এ নদীতে এখন ভাটার সময় ট্রলার চলাচল করতে পারে না। তাই ঝড়জলোচ্ছ্বাস কিংবা দূর্যোগকালীণ শত শত জেলের নিরাপদ আশ্রয় এখন থাকছে না। তাই এই নদীটি খনন করা প্রয়োজন। সর্বোপরি এ নদীর সীমানা চিহ্নিত করা জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আনু, আমির হোসাইন, এস কে রঞ্জন, হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, সুজন মৃধা, রাসেল কবির মুরাদ, জেলে আব্দুল মন্নান, আনোয়ার হোসেন, কৃষক মহিউদ্দিন প্রমুখ।