শিরোনাম :
কেন্দুয়াতে ( নেত্রকোণা) যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত নরসিংদির সাবেক ডিসি ফারহানা কাওনাইন ওএসডি বাউফলে বিএনপি নেতার পদ পুনর্বহাল রাখার দাবীতে জনসভা। রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে না যেতে নিষেধাজ্ঞা বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দুয়া সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ জটিলতায় দুই মাস ধরে বন্ধ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন: সামনে রমজান ও ঈদে বিপাকে স্টাফরা শিবপুরে কাপড় ব্যবসায়ী কবির নিহত, নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত মানুষ। সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের কুঠিরেই মারা গেলেন এমপি,জজ মিয়া।সকাল বেলার বাদশাহ যিনি ফকির সন্ধ্যা বেলা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন নিউইয়র্ক পুলিশের হাতে গ্রেফতার সমকালীন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ রোজা ভাঙিয়ে বন্দির স্ত্রীকে ধর্ষণ করতেন আলেপ
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন

কলাপাড়ায় অস্তিত্ব সংকটে হেতালবাড়িয়ার খাল,পলি জমা এবং দখল দূষণের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ।

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ফোরকানুল ইসলাম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি      :     পলি জমে থাকায় হেতালবাড়িয়ার খালে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, দখল, দূষণ এবং পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের হেতালবাড়িয়ার খাল। ফলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে খালটিতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি থাকছে হাজারো কৃষকের জমি। দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, আরপাঙ্গাশিয়া নদীর শাখা থেকে হেতালবাড়িয়া খালের উৎপত্তি হয়েছে। দুই যুগ আগেও এই খালে চলাচল করতো পণ্যবাহী ট্রলারসহ ছোট-বড় নৌকা। খালের পানি ব্যবহার করেই কৃষকরা শুষ্ক মৌসুমে তাদের জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতেন। বর্তমানে দখল ও দূষণের কারণে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে খালটি। রজপাড়া হেতালবাড়িয়া স্লুইজ সংলগ্ন প্রধান ফটকে পলি জমে ভরাট হয়ে মাটির বড় স্তূপ জমে রয়েছে। যে কারণে স্লুইজ গেট থেকে খালে স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। 

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালটি দখল করে গড়ে অনেকেই  তুলেছেন ছোট ছোট স্থাপনা। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় প্রায় ২ কিলোমিটারের এ খালটির অর্ধেক এখন মৃত। শুধু হেতালবাড়িয়া খালই নয়, পানি প্রবাহ না থাকায় এ খালের সঙ্গে যুক্ত জীন খাল, মৌশার খাল ও স্বনির্ভর খালসহ অন্তত পাঁচটি শাখা খালও এখন মৃতপ্রায়। ফলে শীত মৌসুমে মিঠা পানির অভাবে রজপাড়া ও পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের হাজারো কৃষক তাদের জমি চাষাবাদ করতে পারছে না। অনেক সময় জমিতে বৃষ্টির পানি জমে ধানের বীজ নষ্ট হয়ে যায়। খাল মরে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি খাল থেকে নদীতে নামতে পারে না। একটু বর্ষা হলে অধিকাংশ জমিতে পানি জমে থাকায় অনেক সময় চাষাবাদও করা যায় না। অনেকের জমি প্রায় বছরই খিল (অনাবাদি) থাকে।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক বলেন,  হেতালবাড়িয়ার খালের বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে। খালটির দখল হয়ে যাওয়া অংশ উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান এবং খননের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category