মাহবুবুর রহমান খান:
কয়েকদিনের মধ্যে হয়তো গাঁজা বাসি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। 💔
১ লাখ ১৭ হাজার মানুষের একটা শহর রাফাহ, সেখানে একটি মানুষও আর নেই। কেউ আর বিশ্ববাসীর কাছে জবাব চাইবেনা, আর কেউ সাহায্য চাইবেনা।
ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে— পাকিস্তান ও তুরস্ক ছিল বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর ,
তবু গাজার রক্ষার্থে একটি বোমাও উড়ে আসেনি।
মিশরের বুক চিরে নীলনদ বয়ে গিয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী , যা প্রাণ জুগিয়েছে আফ্রিকার মরুভূমিকে। অথচ , পাশেই গাজার শিশুরা তৃষ্ণায় কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল।
সৌদি আরব , আরব আমিরাত ছিল তেলের সাগর তেলের সাগরে ভেসে থাকা বিলাসী সাম্রাজ্য , কিন্তু , গাজার অ্যাম্বুলেন্সগুলো পেট্রোল না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল নিঃশব্দে , নিরূপায়। নিরবতা যেনো তাদের একমাত্র আর্তনাদ।
সর্বোচ্চ আশা-প্রত্যাশার অসংখ্য চোখ তাকিয়ে ছিল তুরস্কের দিকে। নেতৃত্বের স্বপ্নে বিভোর , ‘উম্মাহ’র দাবি করা মুখপাত্র। তবুও , গাজার জন্য তারা কিছুই করলো না। না রসদ-সামগ্রীর সাহায্য, সামরিক সহযোগিতা, না নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় কূটনৈতিক আগ্রাসন..
গোটা বিশ্বের মুসলমানদের ছিল ৫০ লাখ সৈন্য , ছিল ট্যাংক , ক্ষেপণাস্ত্র , যুদ্ধবিমান , স্যাটেলাইট , গোয়েন্দা বাহিনী , ছিল আধুনিক প্রযুক্তি এমনকি হাইড্রোজেন পরমাণু বোমা— কিন্তু , গাজার আকাশে একটাও ছায়া পড়েনি। গাজার দিকে কেউ হাঁটেনি।
সবকিছু থাকবে ইতিহাসে। গাজার মতোই– কাশ্মীর , উইঘুর , রোহিঙ্গা সহ বিভিন্ন প্রান্তে জুলুমাতের অন্ধকারে থাকা মুসলমানদের কথা। তবে, সবচেয়ে করুণভাবে লেখা থাকবে– ‘তারা চুপ ছিল। সবাই নিরব ছিল। মৃত্যুর চেয়েও গভীর ছিল সে নীরবতা।
মানবহীন ভূমি দেখে যারা উল্লাস করছে তারা জানেনা প্রতিশোধের বদলা শুধু মানুষই নেয়না প্রকৃতিও নেয়। রাফার মাটির সাথে যে রক্ত মিশে আছে সেই রক্তমাখা মাটিই একদিন হিংস্র হয়ে গ্রাস করবে।
আজকে রাফা’হ মানবশূন্য ঠিকই কিন্তু একদিন এই রাফাই আবার জনমানবে বিস্তৃত হবে, শেষ লড়াই টা লড়বে। উল্লাস তখন মুসলমান করবে, পতাকা উড়বে ফিলিস্তিনে কিন্তু সমাদৃত হবে পুরো বিশ্বে ইন শা আল্লাহ।