শিরোনাম :
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নতুন চমক, ফিরে আসবে বীর দর্পে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবসের বাস্তবতা বাউফলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আমার বাবা কর্নেল তাহের——স্মৃতিচারণে জয়া তাহের চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গণসংযোগে গুলি বর্ষণের নেপথ্যে এক আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন ভোলার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর চট্টগ্রামে গণসংযোগ কালে বিএনপি প্রার্থী গুলি বিদ্ধ। সহযোগীকে নির্মমভাবে হত্যা। এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। Israt jahans unspeakable achievements জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণভয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সারাদেশে উত্থাল পরিস্থিতি। নির্বাচনে কে দেবেন নেতৃত্ব? আর কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার এই নতুন বিচারিক আইনে একটি প্রতিশোধ পরায়ন রাজনীতির নিদর্শন——ডেভিড বার্গম্যান

Reporter Name / ৩৬ Time View
Update : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

  • মো: মাহবুবুর রহমান খান :বিচারপতি এবিএম খাইরুল  বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ,  আইনজীবী  এবং বাংলাদেশের ১৯তম সাবেক প্রধান বিচারপতি। যিনি বাংলাদেশে এই প্রথম বাংলা  ভাষায়  রায় প্রচলন করে  উচ্চ আদালতে বাংলা প্রচলনে ভূমিকা রাখার  জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
    জন্ম:তিনি ১৮ মে ১৯৪৪ সনে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন আড়াই পাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নাগরিকত্ব:বাংলাদেশ
    জাতীয়তা : জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী। ধর্ম :ইসলাম।
    পেশা : আইনজীবী। শিক্ষা জীবন :তিনি প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি পরে যুক্তরাজ্যের লিংকন্স ইন থেকে বার – এট- ল   (ব্যারিস্টার) ডিগ্রী লাভ করেন ।
    কর্মজীবন :খায়রুল হক ১৯৭০ সালে জজ আদালতে আইন পেশায় যুক্ত হন পরে ১৯৭৬ সালে  ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। দীর্ঘ  ২৫ বছর হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করার পর ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং পরবর্তীকালে ২০১০ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে পদোন্নতি  লাভ করেন।  ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি দেশের ১৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে এবিএম খায়রুল হককে নিয়োগ প্রদান করেন এবং তিনি ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৭ মে তারিখে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় প্রধান বিচারপতির পথ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।তৎকালীন সরকার এর বিচার বিভাগ ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে  ৩ বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করেন। আইন বিষয়ে তার মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুন নিয়োগ দেওয়া হয় । কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ গ্রহণ করেন।
    অত:পর ২০২৫ সালের ২৪ জুলাই সকালে তাকে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির প্রহসন মূলক অভিযোগে সাবেক এই বিচারপতির বিরুদ্ধে তখন দুটি  মামলা দায়ের করা হয়।
    সাবেক এই প্রধান বিচারপতির বর্তমান হালচালঃ বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এখন কারা  বন্দী আছেন। তার গ্রেফতার ও চলমান কারাবাস  হাসিনা পরবর্তী বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি বড় কালো অধ্যায়। এ ধরনের গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ আমলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এভাবেই তখন আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগ আর বিচার বিভাগ রাজনৈতিক হুকুমের আজ্ঞাবহ হয়ে ওঠেছিল। এমন স্বৈরাচারী ব্যবস্থার কারণেই আইনের শাসন ব্যবস্হার ওপরে কোন আস্থা ছিল না  সাধারণ মানুষের। আর যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের অনেকেই এক সময় এসব প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক অপব্যবহারের কঠোর সমালোচক ছিলেন । কিন্তু এখন তারা হয় নিজেরাই এই অন্যায়ের সহযোগী হয়েছেন নতুবা  সব দেখেও মুখে কুলুপ  এটে রেখেছেন। যে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থাকে তারা আগে নিন্দা করতেন এখন সেটিকে  তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। ২০১৭ সালে তৎকালীন বিচারপতি এসকে সিনহা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ  মামলাসাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন বলে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে পদত্যাগ করতে এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। সিনহাকে চাপ  দেওয়ার অংশ হিসেবে তখন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইনটেলিজেন্স( ডিজিএফআই)তাঁর এক সহযোগীকে গুম করেছিল এবং হুমকি দিয়েছিল সিনহা যদি পদত্যাগ  করে দেশ না ছাড়েন তাহলে  তাকে  গুম করে রাখা হবে। তবে এটা ঠিক, বর্তমান সরকার সেই পর্যায়ের সীমা লংঘন করেনি। তবে বাস্তব সত্যটি হলো  আরেক দিক থেকে তারা আবার আরো বেশি চরম মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। তারা সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কে মিথ্যা বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগে কারাগারে পাঠিয়েছে। যা সম্পূর্ণ আইনের ব্যত্যয়। আওয়ামী লীগ পর্যন্ত তাদের দমন -পীড়নের চরম সময়েও এমন আচরণ করেনি। এটা নিঃসন্দেহে  আওয়ামীলীগের কর্তৃত্ববাদী  শাসনামলে বিচার বহির্ভূত গুম,হত্যা ও অবকাঠামোগত দুর্নীতির মতো ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল। যেখানে এসব অপরাধীর বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও শক্ত প্রমাণ আছে সে সব ক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত।তবে অপরাধী সনাক্তকরণে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে কাউকে  হয়রানি করা, কারাগারে আটকে রেখে সঠিক বিচার কার্যক্রম কে প্রশ্নবিদ্ধ করা কারো কাম্য নহে।
    তথ্যসূত্র: * উইকিপিডিয়া
    * ব্রিটিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিক,উইলিয়াম  ডেভিড বার্গম্যান এর বাংলাদেশ প্রেক্ষিত  একটি  রাজনীতি ও বিচার  ব্যবস্হা  বিষয়ক  কলাম।
    বি.দ্র. প্রতিবেদক, একজন সিনিয়র সাংবাদিক ও মানবাধিকার উন্নয়ন কর্মি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category