- জনতার ডেক্স রিপোর্ট : কার্গো ভিলেজ সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পোশাকের স্যাম্পল পুড়ে যাওয়ার কারণে রপ্তানিতে লিড টাইমে অন্তত একমাস পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এখন আবার নতুন করে স্যাম্পল আনা, পোশাক তৈরি করা ব্রাণ্ড ক্রেতাদের অনুমোদন নেওয়া পর্যন্ত অন্তত একমাস সময়ের প্রয়োজন। সূত্র জানায়, শুক্র ও শনিবার দুদিন ছুটি ছিল। এ দু দিন উড়োজাহাজে যত পণ্য এসেছে হস্তান্তরে কোন কাজ হয়নি। আগুনে সব পুড়ে গেছে। কুরিয়ার সার্ভিস সেকশনে উড়োজাহাজ থেকে যে সকল পণ্য নামিয়ে রাখা হয়েছিল সেগুলো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকার পণ্য পুড়ে গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম জানান, আগুনের সর্বমোট ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগুন নিভাতে ২৭ ঘন্টা সময় লেগেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন হেলাল গণমাধ্যমকে জানান, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের আইন অনুযায়ী বিমান বন্দরের যে কোনো উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ও ফায়ার ফাইটিং এর জন্য তো পদক্ষেপ নেওয়া সিভিল এভিয়েশনের কাজ। সিভিল এভিয়েশন কে এয়ারলাইন্স থেকে নিয়মিত টাকা দেওয়া হয়। শাহজালালেই তো অনেকগুলো ইউনিট আছে। তাহলে আগুন নিভানো নিয়ন্ত্রনে আনতে সময় লাগলো কেন? অনেকেে বলছেন এটি পূর্ব পরিকল্পিত নাশকতার অংশ। সরকারকে বেকায়দায় ফেলে আন্তর্জাতিক মহলে
দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাই ছিল এই নাশকতার অংশ।সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচন কে বানচাল করার জন্যেই দেশে অরাজকতা বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের একটা অংশ এই অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির গঠন করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রূপনগর প্রকল্পের সকল সরঞ্জাম ঃ
অগ্নিকাণ্ডে পাবনার ঈশ্বরদিতে নির্মাণাধীন রুপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা বেশ কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এগুলো পরদিন ভিলেজ থেকে খালাস হওয়ার কথা ছিল। যেখানে আগুন লেগেছিল সেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। প্রকল্পের জন্য রাশিয়া থেকে প্রায় ৭ টন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আনা হয়। বিমানবন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে সিএনএফ এর অনেক দায়িত্ব শীল ব্যক্তি গণমাধ্যমে কে জানিয়েছেন
পূর্বের এবং বর্তমান মজুত পণ্য ( রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প) প্রায় ১৮ টন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আমদানি -রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছেন।