ড. মো: কামরুজ্জামান :জামায়াতে ইসলামীকে আজ এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তারা তাজুল ইসলামের মতো একজন অকুতোভয়, সৎ, দক্ষ, নির্ভিক ও দুঃসাহসী আইনজীবী উপহার দিতে পেরেছে। যার আর্গুমেন্ট শুনে একজন বিচারক তাকে স্যার বলে সম্বোধন করতে বাধ্য হয়। তিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিপ প্রসিকিউটর। হাসিনার আমলে যিনি ছিলেন একই আদালতে জামায়াত নেতাদের আইনজীবী। এই আদালত আজ ওয়াকারের দক্ষিণহস্তখ্যাত বর্তমান ও সাবেক ২৫ সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। ২২ অক্টোবরের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওয়াকার তাদেরকে বাঁচাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে অবশেষে ব্যর্থ হলো। ওয়াকার নিশ্চয়ই এখন চোখে সরিষার ফুল দেখছেন। অদৃশ্য ফাঁসির রশি তার চোখের সামনে ভাসছে। এই চার্জ গঠনের মাধ্যমেই গুম খুনের আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হলো বাংলাদেশে। গোটা দুনিয়ায় এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হলেও বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো একেবারেই চুপ। শোকে যেনো ওরা বিহ্বল হয়ে পড়েছে। কোনো সাড়া নেই মিডিয়ায়। বামপাড়ায় পড়েছে শোকের মাতম। আশা করছি, নতুন দিগন্তের পথে বাংলাদেশ আজ পা বাড়ালো। পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচারের কাজও একদিন শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।
বি.দ্র.লেখক,অধ্যাপক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া পরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।