জনতার ডেক্স রিপোর্ট : মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,বরেণ্য রাজনীতিক ও চিকিৎসক মরহুম ডাঃ সৈয়দ আবদুল খালেক কেন্দুয়া থানাধীন চিরাং ইউনিয়নস্হ গোপালাশ্রম গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কেন্দুয়া থানা আওয়ামীলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তিনি কেন্দুয়ার সাজিউড়া হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১১নং চিরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতেই তিনি ভারতে মহিষখলা ক্যাম্পে নিজ থানার নেতৃবৃন্দ ও জেলা নেতৃবৃন্দের সাথে অবস্থান নেন এবং মুক্তিযোদ্ধা দল গঠনের পূর্বে হানাদার বাহিনীর বর্বর অগ্রযাত্রা ঠেকানোর জন্য সাবেক এম, সি, এ জনাব আব্দুল মজিদ তারা মিয়ার নেতৃত্বে নিজ থানা, কলমাকান্দা থানা, দূর্গাপুর থানার বিজয়পুরে বর্বর পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অংশ গ্রহণ করেন।মহিষখলা ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষিত পুলিশ ও আনসার লোকজন আসতে শুরু করলে মহিষখলা ক্যাম্পে মুজিবনগর সরকারের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তদারকি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ডাঃ সৈয়দ আব্দুল খালেক সাহেবকে সদস্য-সচিব করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং হওয়ার পর ডাঃ সৈয়দ আব্দুল খালেক মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে সংগঠকের দায়িত্ব গ্রহন সহ তিনি ডাক্তার হিসাবে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও শরনার্থী ক্যাম্পে চিকিৎসায় ব্যাস্ত ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ডেন্টা হাসপাতালে ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন।এখানে উল্লেখ্য যে,এই বরেণ্য ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা,সমাজসংস্কারক, রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি মরহুম ডাঃ সৈয়দ আবদুল খালেক ছিলেন দৈনিক জনতার দেশ ও জনতার দেশ টিভির সম্পাদক – প্রকাশক মাহবুবুর রহমান খান এর আপন ছোট বোনের শ্বশুর অর্থাৎ সম্পর্কে তাঐ।এই কীর্তিমান ব্যক্তির ৩৬ তম প্রয়াণ দিবসে জনতার দেশ পরিবার তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করছে।
মুক্তিযোদ্ধা