বিনোদন ডেক্স :সবচেয়ে সুন্দর আসলে স্মিতা পাতিল। পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে পড়ে রেডিওর সংবাদ পাঠিকা থেকে নায়িকা হয়ে মাতিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া স্মিতা পাতিল। নিশান্ত, চরণদাস চোর, মন্থন, চক্র, মির্চ মাসালা, ভূমিকা, আকালের সন্ধানে আর সদগতির স্মিতা পাতিল। শ্যাম বেনেগাল, গোবিন্দ নিহালিনী, মৃণাল সেন আর সত্যজিৎ রায়ের স্মিতা পাতিল। নাসিরুদ্দিন শাহ আর শাবানা আজমীর স্মিতা পাতিল। অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজ বাব্বরের স্মিতা পাতিল। ’ফর্সা, তুলতুলে মেয়েমানুষ’ না হয়েও আর্ট থেকে বাণিজ্য সব ধারার সিনেমায় তোলপাড় ফেলে দেওয়া স্মিতা পাতিল। গ্ল্যামার, টাকার অঙ্ক আর বক্স অফিসের সমস্ত হিসেব তছনছ করে ছকের পর ছক ভাঙ্গা স্মিতা পাতিল। প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক উৎসবে সাড়া জাগানো স্মিতা পাতিল। সবচেয়ে কম বয়সে পদ্মশ্রী পদক পাওয়া স্মিতা পাতিল। মথুরা ধর্ষণ মামলায় আদালতের ‘যেহেতু যৌন সম্পর্কে অভ্যস্ত তাহলে নিশ্চয়ই মেয়েটাও রাজী ছিলো’ মার্কা রায়ে গড়ে ওঠা তীব্য নারীবাদী আন্দোলনের ফসল ‘ওম্যান্স সেন্টার’ এর যে কোনো প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া স্মিতা পাতিল। মাত্র এক দশকের ক্যারিয়ারে গোটা পাঁচেক ভাষায় ভারতের সর্বকালের সেরা সব পরিচালকের সঙ্গে প্রায় আশিটার মতো সিনেমা করে দুবার জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া স্মিতা পাতিল। মাত্র ৩১ বছরেই দেহাবসান না হলে আজ তাঁর ৭০ বছর হতো।
শুভ জন্মদিন স্মিতা পাতিল…
তথ্যসূত্র: ফিল্ম আর্কাইভ ইন্ডিয়া।