রবিউল ইসলাম রাজঃ বেশ কিছুদিন আগে এক ইন্টারভিতে সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক দাবী করে বলেন, সালমান শাহ যদি ওকে ( শাবনুর কে) ছোট বোন বলে ডাকে তাহলে তাকে প্রেগন্যান্ট করলো কে?
কারন, সে যখন সালমানের সঙ্গে একের পর এক ছবি করতেছিল, তখন সালমান শাবনুরকে বলেছিল অন্য নায়কের সঙ্গে কাজ করতে পারবে না।
তারপর থেকেই তো শাবনুর অন্য নায়কের সঙ্গে কাজ করা ছেড়ে দিয়েছিলো, যদি সালমান ওকে ভালোই না বাসতো তাহলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলো? এবং তাও আবার আমাকে তালাক দিতে চাপ দিতো শাবনুর। এই নিয়ে প্রচন্ড ঝগড়া হতো সালমানের সঙ্গে আমার।
সামিরা আরো দাবী করেন, আমি নায়িকা মৌসুমী কে সহ্য করতে পারতাম না, কারন আমি স্যুটিংয়ে মাঝে মধ্যে বেড়াতে গেলে, মৌসুমী ঠিক মতো আমার সঙ্গে মিশতে চাইতোনা এবং কথা বলতে চাইতো না, সে কারনেই সালমানকে বলেছি আর তুমি মৌসুমির সংগে কাজ করতে
পারবেনা। আবার যখন শাবনুরের সুপারিশ করলাম, তখন সে আমার স্বামী সালমানকেই কেড়ে নিতে চাইলো, তখন আমি বলেছিলাম, তুমি শাবনুরের সঙ্গে কাজ করতে পারবে না। তখন আমি সিদ্ধান্ত দেই – অন্য নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করো।
এই কথা গুলো সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরার।
সূত্র আরো বলছে, সামিরার মায়ের বিউটি পার্লার ছিলো থাইল্যান্ডে। আর থাইল্যান্ডে বসবাস করতেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। সেখানেই পরিচয় হয় – বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সামিরার মা লতিফা হক লুসির। আবার থাইল্যান্ডেই পরিচয় হয় সামিরার মায়ের সঙ্গে সামিরার বাবা শফিকুল হকের।
তারপর দুজনের প্রেম এরপর প্রেম করে বিয়ে করেন তারা তারপর জন্ম হয় তিন কন্যা সন্তান – তার মধ্যে সামিরা একজন। আর সামিরার মা লুসি একজন জাপানি মেয়ে – থাইল্যান্ডে তার বিউটি পার্লার ব্যবসা ছিলো। তার মানে আজিজ মোহাম্মদ ভাই আর সামিরার মা পূর্ব পরিচিত – এতে কোন সন্দেহ নাই।
সালমান শাহ কোন দিক থেকে যে মারা পড়েছেন – তা ক্লিয়ার বলা মুশকিল। কারন তার চারি দিকে শত্রু ছিল।
যেমন ————- ১. আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে চড় মারা
২. দ্রুত চলচ্চিত্রে সুপারস্টার হওয়া ( ফিল্মের গেইম থাকতে পারে)
৩. সামিরাকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪. শাবনুর সামিরাকে তালাক দেওয়ার জন্য উসকে দেওয়া
৫. সামিরার একাধিক পরকিয়া প্রেমিক থাকা
৬. পুরনো কোন শত্রুতা কারো সঙ্গে থাকতে পারে ( যা কেউ জানে না)
৭. হয় তো বা তার মা নীলা চৌধুরীর কোন শত্রু ও এ কাজ করতে পারে ( কারন নীলা চৌধুরী কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেত্রী ছিলেন জাতীয় পার্টির)
৮. সামিরার মা লতিফা হক লুসি হতে পারে। কারন তার মেয়েকে সালমান তালাক দেওয়ার ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এই আটটি কারনের মধ্যে যে কোন একটি কারন একশো পার্সেন্ট শিউর হবে। তাছাড়া আর কোন কারন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, আর কোন অপশন- দেখা যাচ্ছে না।
এ পর্যন্ত সালমানকে নিয়ে যতো তথ্য প্রকাশ পেয়েছে – তার উপর ভিত্তি করেই এই ৮ টি পয়েন্ট বের করা হয়েছে। তারপরেও দেশে আইন আছে। গোয়েন্দা সংস্হাা গুলো তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করবেই। আইনের হাত অনেক লম্বা – খুনিরা যতো চালাকই হোক না কেন, ধরা তাকে পড়তেই হবে।
বি.দ্র. প্রতিবেদক,রবিউল ইসলাম রাজ একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।