শিরোনাম :
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নতুন চমক, ফিরে আসবে বীর দর্পে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবসের বাস্তবতা বাউফলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আমার বাবা কর্নেল তাহের——স্মৃতিচারণে জয়া তাহের চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গণসংযোগে গুলি বর্ষণের নেপথ্যে এক আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন ভোলার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর চট্টগ্রামে গণসংযোগ কালে বিএনপি প্রার্থী গুলি বিদ্ধ। সহযোগীকে নির্মমভাবে হত্যা। এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। Israt jahans unspeakable achievements জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণভয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সারাদেশে উত্থাল পরিস্থিতি। নির্বাচনে কে দেবেন নেতৃত্ব? আর কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার কবর ভারতের গঙ্গা নদীর তীরবর্তী পানিহাটি গ্রামে আবি:স্কৃত

Reporter Name / ২৯ Time View
Update : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেক্সঃ ১৮৯৮ সালে  স্বামীর সাথে বেগম রোকেয়া। অনেকেই হয়তো জানেন না বেগম রোকেয়াকে সমাহিত করা হয় ভারতের কলকাতায় এবং সেটি অনেক বছর সেখানেও অজানা ছিলো। অনেকটা অবহেলিত অবস্থাতেই ছিলো সেটি সেখানে।  পরবর্তীতে সেখানকার ইতিহাসের একজন অধ্যাপক সেটি আবিষ্কার করেন ও সেখানে পরবর্তীতে যথাযথ নামকরন করা হয়।

বেগম রোকেয়ার স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন বিহারী। তাই বেগম রোকেয়ার বিয়ের পরের জীবনের অধিকাংশ সময় বিহার ও পশ্চিম বাংলার কলকাতায় কেটেছে।

তাকে সমাহিত করা হয় গঙ্গা নদীর তীরবর্তী পানিহাটি গ্রামে। এক সময় ছিল নিভৃত গ্রাম, এখন সেখানেও শহরের ছোঁয়া লেগেছে। রোকেয়া কলকাতায় বসবাস করতেন। কিন্তু কেন তাকে সে সময়ের মূল শহর থেকে অনেক দূরে পানিহাটিতে সমাহিত করা হয়েছিল?

এ নিয়ে দুটি মত রয়েছে- এক. সেখানে বেগম রোকেয়ার আত্মীয়-স্বজনের পারিবারিক কবরস্থান ছিল। রোকেয়ার ভাইয়ের পৌত্রী মাজেদা সাবের আমাকে বলেছেন, তার মায়ের কবরও ওই স্থানে রয়েছে। রোকেয়ার কবর কেন পানিহাটিতে- এ প্রশ্ন তাকে করায় তিনি আরও বলেন, স্যার আবদুল করিম গজনবী ছিলেন রোকেয়ার বড় বোনের বড় ছেলে। তিনিই সেখানে রোকেয়াকে সমাহিত করায় উদ্যোগী ছিলেন।

১৯৯৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর রোকেয়ার কবরে উন্মোচন করেন একটি স্মৃতিফলক।

তবে রোকেয়াকে সেখানে সমাহিত করার কারণ হিসেবে আরেকটি মতও রয়েছে এভাবে- ১৯৩২ সালে বেগম রোকেয়ার মৃত্যুর পর কলকাতার রক্ষণশীল  সমাজের একটি অংশ তাকে কলকাতায় কবর দিতে আপত্তি জানায়। তাদের কাছে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ায় অনন্য অবদান রাখা এ নারী ধর্মদ্রোহিণী ছাড়া কিছুই নয়। তাদের অভিযোগ, মুসলিম নারীদের তিনি পাপের পথে চলতে উৎসাহ দেন।কারণ যাই হোক, বেগম রোকেয়া চিরনিদ্রায় শায়িত হয়ে আছেন পানিহাটিতে।

তবে বিশ্বে কত বিস্ময়ের ঘটনাই না ঘটে। রোকেয়ার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পানিহাটিতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছিল। উদ্যোক্তারা স্থানীয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাইলেন। পৌরসভা থেকে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল রোকেয়ার ওই আত্মীয়ের পারিবারিক সম্পত্তির একটি অংশ। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা পৌরসভা কেউই জানত না যে, এ এলাকাতেই রয়েছে নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার কবর। পশ্চিমবঙ্গের স্পিকার মনসুর হবিবুল্লাহ নব্বইয়ের দশকে উদ্যোগী হন রোকেয়ার কবরস্থানটি সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে। সে সময়ে পানিহাটি পৌরসভার পুরনো নথিপত্র ঘেঁটে রোকেয়াকে সমাহিত করার স্থানটির সন্ধান মেলে।

উপমহাদেশের মুসলিম নারীরা তার সময় শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে ছিলেন। মুসলিম নারীদের শিক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে তার ভূমিকা আজও জনগণ স্মরন রাখবে।

সূএ : সমকাল


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category