শিরোনাম :
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নতুন চমক, ফিরে আসবে বীর দর্পে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবসের বাস্তবতা বাউফলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আমার বাবা কর্নেল তাহের——স্মৃতিচারণে জয়া তাহের চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গণসংযোগে গুলি বর্ষণের নেপথ্যে এক আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন ভোলার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর চট্টগ্রামে গণসংযোগ কালে বিএনপি প্রার্থী গুলি বিদ্ধ। সহযোগীকে নির্মমভাবে হত্যা। এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। Israt jahans unspeakable achievements জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণভয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সারাদেশে উত্থাল পরিস্থিতি। নির্বাচনে কে দেবেন নেতৃত্ব? আর কে হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণভয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

Reporter Name / ৩২ Time View
Update : বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

 

মো.আরিফুল ইসলাম, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফলের চর রায় সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিগত ২৫ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় এখন মৃত্যু পরিণত হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনের নিচে প্রতিদিন প্রাণভয়ে ক্লাস করছে ১৯২ কোমলমতি শিক্ষার্থী।

উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ২৩০ নং চর রায়ে সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে এবং ২০০০ সালে নির্মিত হয় চার কক্ষের একতলা ভবন। দীর্ঘ দুই যুগে কোনো সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় ভবনের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের দেয়ালজুড়ে বিস্তীর্ণ ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে টুকরো টুকরো করে, বিভিন্ন স্থানে বেরিয়ে এসেছে মরিচাধরা রড। সামান্য নড়াচড়ায় পুরো ভবন দুলে ওঠে, শ্রেণিকক্ষের দরজায় ধাক্কা লাগলেই দোদুল্যমান হয়। বর্ষায় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়, হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমে বিদ্যালয় মাঠেও চলাচল করা যায় না।

শিক্ষার্থী সাইমুন ও লামিম জানায়, আমরা সবসময় ভয় পাই, কখন ছাদের প্লাস্টার মাথায় পড়ে যায়।

সহকারী শিক্ষক রিফাত মীন বলেন, দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে, ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই ক্লাস নিতে হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জানান, বর্ষাকালে ক্লাসরুমে পানি জমে গেলে পাঠদান প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

অভিভাবকদের ভাষায়, সন্তানদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠানো মানেই প্রতিনিয়ত প্রাণ হাতে নিয়ে স্কুলে পাঠানো। তাই দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান তারা।

প্রধান শিক্ষিকা কলি আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের নাজুক অবস্থা সম্পর্কে ইতোমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বড় ধরনের মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কালাম হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবনের প্রস্তাব শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসেই নতুন ভবনের কাজ শুরু হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category