অজয় দাশ গুপ্তঃ সাহেবের একমাত্র সন্তান। পার্সী যুবকের প্রেমে পড়ে বিয়ে করায় পিতা পুত্রীর সম্পর্ক ভেঙ্গে গিয়েছিল চিরতরে। এমন ঘটনা ভারতেও ঘটেছিল। নেহেরু কন্যা ইন্দিরার প্রেম পরিণয় পার্সী যুবকের সাথে। নেহেরুও রাজী ছিলেননা। মেয়েকে শান্তি নিকেতনে পাঠিয়ে চেষ্টা করেছিলেন বশীকরণের। শেষে মেনে নিয়েছিলেন।
হয়তো জিন্নাহ সাহেব ও মানতেন। মানারই কথা। তিনি ব্যক্তি জীবনে ধার্মিক ছিলেন না। খাওয়া বারণ, এমন অনেক কিছু খেতে দেখেছে অনেকেই। কিন্তু ঐ যে রাজনীতি,সারাজীবন ধর্মান্ধতা অার সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি সে কারনেই হয়তো একমাত্র কন্যাকেও দূরে ঠেলে দিতে হয়েছিল। অাজীবন দূরে থাকা মেয়েটি কি পিতার পদাংক অনুসরণ করে ইন্দিরা গান্ধী, শ্রী মাভো বন্দরনায়েক কিংবা বেনজীর হতে পারতেননা? পারতেন যে তার প্রমাণ দীনার জীবনেই দেখি আমরা। পিতার ড্রিমল্যান্ড পাকিস্তানে কোনদিন বসবাস করেননি। দেশভাগের যন্ত্রণা রক্ত আর পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ বুঝতেন বলেই সারাজীবন কাটিয়েছেন পিতার দুশমন দেশ ভারতে। আজীবন ভারতের নাগরিক ছিলেন দীনা।
সম্প্রতি তিনি পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে কত বিচিত্র সব ঘটনা আর মানুষের ভীড়। সুূদর্শনা এই নারীর কাছে শেখার পাঠ বাকী রয়ে গেলো আমাদের। চোখ খুলে তাকালেই শেখা যায় বৈকি।তাঁকে আমার প্রণাম জানাতে মন চাইছে।
বিদায়।
ছবি ও তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া।